গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসাকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
গোবলয়ে ভোট টানতে শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের বাহারাইচের জনসভায় মমতাকে নিয়ে প্রশংসা করেছিলেন মোদী। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে দলীয় এক সমাবেশে বুদ্ধবাবু মন্তব্য করেন, “মোদী
মানেই বিপদ। আর এমন একটা সময়ে উনি ঘোমটার নীচে তলে তলে বিজেপি, আরএসএসের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছেন। এখন শুনছি মোদী এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করছেন। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে জানেন, রতনে রতন চেনে!”
মোদীর প্রশংসাকে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব যেমন গুরুত্ব দেননি, এ দিন বুদ্ধবাবুর কটাক্ষকেও তাঁরা আমল দিতে চাননি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “৩৪ বছর বাংলার সর্বনাশ করা পরে বুদ্ধবাবুদের বুদ্ধিনাশ হয়েছে। আসলে সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি-রই আঁতাত হয়েছে। এরা তৃণমূলে বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে।” শুক্রবারই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় পরিষ্কার বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের কাজ করছেন। আমাদের কারও সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই।’’ এ দিন আরও এক ধাপ এগিয়ে ফিরহাদ বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে মমতাদির বক্তব্য ও মতামত স্পষ্ট। এরমধ্যে গোপনীয়তার কিছু নেই। ফলে কে তাঁর পক্ষে বা বিপক্ষে কী বলছেন তা নিয়ে তাঁর কিছু এসে যায় না।” বিজেপি-তৃণমূল তলায় তলায় আঁতাতের প্রসঙ্গ টেনেছেন বুদ্ধবাবু। ফিরহাদের বক্তব্য, “চোরের মায়ের বড় গলা! এ সব বলে যাঁরা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন তাতে লাভ হবে না। মানুষ এঁদেরও চেনে, মমতাদিকেও চেনে।”
দিল্লির সরকারের ব্যর্থতায় জিনিসের দাম বাড়ছে এবং সেই সুযোগ নিতে মোদী ময়দানে নেমেছেন বলে এ দিন বুদ্ধদেববাবু অভিযোগ করেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “মনমোহন সিংহের আমলে কেবল জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এখন সেই জমি দখল করতে আসরে নেমেছে বিজেপির নরেন্দ্র মোদী। দাঙ্গা বাধানোর অভিযোগে ওঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ চলছে।” তিনি মানুষকে মোদী সম্পর্কে সতর্ক করেন।
|