টুকরো খবর
তৃণমূল যুব নেতার দেহ মিলল খালে
হাওড়া জেলা তৃণমূল যুবার এক নেতার দেহ মিলল বাগনান রেল স্টেশন সংলগ্ন খাল থেকে। শনিবার সকালের ঘটনা। মৃতের নাম সুকান্ত রাউত (২৮) ওরফে পল্টু। বাড়ি বাগনানের খালোড় পশ্চিমপাড়ায়। বাগনানেই একটি ফাস্ট ফুডের দোকান চালাতেন তিনি। পরিবারের দাবি, শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সুকান্তের মোটর বাইকটি উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানায়, দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে, পরিবারের লোকজনের দাবি, সুকান্তের গলায় সোনার হার এবং আঙুলে কয়েকটি সোনার আংটি ছিল। সেগুলি পাওয়া যায়নি। ওই হার ও আংটির জন্যই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে তাঁদের সন্দেহ। যদিও শনিবার রাত পর্যন্ত থানায় এ নিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মানস বসু বলেন, “পল্টু ভাল সংগঠক ছিলেন। রাজনৈতিক কারণেও তাঁকে খুন করা হতে পারে।”

কারখানায় শ্রমিকের মৃত্যু
মেশিনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। শুক্রবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগরে ফলতা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের একটি কারখানার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সন্ন্যাসী দলুই (৫০)। তাঁর বাড়ি স্থানীয় শ্যামসুন্দরপুর গ্রামে। তিনি ওই কারখানারই স্থায়ী কর্মী ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কারখানাটিতে বড় প্লাস্টিক দানা তৈরির কাজ হয়। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ সন্ন্যাসীবাবু মেশিনের হোল্ডারে ব্লেড লাগানোর কাজ করছিলেন। ওই সময় আচমকাই মেশিনটি চলতে শুরু করে। তারই জেরে সন্ন্যাসীবাবুর দেহ টুকরো টুকরো হয়ে যায়। ওই ঘটনায় কারাখানায় শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ বলেন, “সন্ন্যাসীবাবু কর্মরত অবস্থায় মারা গিয়েছেন। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের কাউকে চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে কারখানা মালিকের সঙ্গে আলোচনা করেছি।”

মহিলার দেহ উদ্ধার
বাড়ির অদূরে গোয়ালঘরে মিলল এক মহিলার মৃতদেহ। গোসাবার বালি ১ ব্লকের আমলামেথি ৫ নম্বর পাড়ার ঘটনা। রবিবার সকালে কৌশল্যা সরদার (৫৫) নামে ওই ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। তার পরনের শাড়ি, ব্লাউজ ছেঁড়া ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাকে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, “আপাতত একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনই মৃত্যুর কারণ নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন আগে ওই মহিলার স্বামী মারা যান। সেই থেকে বাপের বাড়িতে বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। গ্রামে বিভিন্ন কাজ করে সংসার চালাতেন।

কামদুনি: শেষ অভিযুক্তও ধৃত
ধরা পড়ল কামদুনি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বাকি আট জন ধরা পড়লেও রফিকুল ফেরার ছিল। শনিবার রাত ১১টা নাগাদ শাসনের পার খড়িবাড়ি গ্রামে নিজের বাড়ি থেকে ধরা পড়ে রফিকুল। ৭ জুন কামদুনিতে গণধর্ষণ করে খুন করা হয় এক কলেজছাত্রীকে। এর জেরে রাজ্যে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গত কয়েক দিন শাসনে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ চলছে। সেই সূত্রেই এসডিপিও-বারাসত সুবীর চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এ দিন শাসনের বিভিন্ন এলাকায় হানা দেয় পুলিশ। তখনই ধরা পড়ে রফিকুল। রফিকুল ছাড়াও এ দিন রাজনৈতিক সংঘর্ষে জড়িত আট দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়েছে।

জাল সিমেন্ট আটক
ম্যাটাডর ভর্তি জাল সিমেন্ট আটক করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানার হামাদামা বাজারে এলাকাবাসীই ওই গাড়ি আটক করে পুলিশে খবর দেন। চালক মহম্মদ রফিক ও খালাসি সেকেন্দার সর্দারকে ধরা হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে ধৃতেরা জানিয়েছে কলকাতার তিলজলা থেকে ওই সিমেন্ট ভর্তি গাড়িটি হামাদামায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের বলেছিল কয়েক জন। তার বেশি কিছুই জানে না তারা। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত চলছে।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
রাস্তার পাশের খুঁটিতে ধাক্কা লেগে মৃত্যু হল এক মোটরবাইক আরোহীর। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালি থানার দুর্গামণ্ডপের ঘটনা। মৃতের নাম পরিমল মণ্ডল (২৬)। বাড়ি আতাপুর তালতলায়। তার দুই সঙ্গীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দেহ উদ্ধার
শনিবার সকালে মহিষাদলের বারঅমৃতবেড়িয়া গ্রামে হুগলি নদীর খেয়াঘাটের সিঁড়িতে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের দেহ পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা, দেহটি অন্য কোনও জায়গা থেকে নদীর জলে ভেসে এসেছে। মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.