অনশনরত জেলবন্দি বিনয় তামাঙ্গ-সহ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ধৃত কর্মী-সমর্থকদের মুক্তির ব্যবস্থা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ফের আর্জি জানান হল। বৃহস্পতিবার নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গের প্রতিনিধি বিধায়ক হরকাহাবাহাদুর ছেত্রী। সরকারি সূত্রে খবর, হরকাবাহাদুরকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে নানা সময়ে নানা অভিযোগে মামলা হয়েছে। তা-ই প্রতিটি অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে পুলিশ পদক্ষেপ করছে বলে তিনি হরকাবাহাদুরকে জানান।
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস পাওয়ার পরে সঙ্গে সঙ্গে গুরুঙ্গকে তা জানিয়ে দেন কালিম্পঙের বিধায়ক। মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা জানান, এর পরে তামাঙ্গকে অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হতে পারে। তামাঙ্গ ৩০ অক্টোবর থেকে অনশন করছেন। বর্তমানে তিনি জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকারের দাবি।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরে হরকাবাহাদুর বলেন, “জিটিএ-এর ১০ জন সভাসদ এবং মোর্চার ১৪৪ জন কর্মী-সমর্থক বিভিন্ন জেলে বন্দি। গত ২৮ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রীর দার্জিলিং সফরের সময়েও আমাদের এই কর্মী সমর্থকদের মুক্তির প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল। কিন্তু ধৃতেরা মুক্তি তো পানইনি, উল্টে তাঁদের নতুন নতুন মামলায় জড়ানো হয়েছে।” তিনি জানান, প্রভাত ছেত্রী, কল্যাণ দেওয়ান, যোগেশ লামাদের কার্শিয়াঙে এনে নতুন করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তিনি জানান, আলোচনার সময়ই মমতা জানিয়েছেন, কোনও সমস্যা হলে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী কিংবা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়কে ফোন করতে পারেন। মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, বিধানসভার অধিবেশনে তাঁরা ফের শাসক দলের সঙ্গেই বসবেন।
জিটিএ প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি বলে এ দিন জানিয়েছেন হরকাবাহাদুর। তিনি বলেন, “কয়েক দিনের মধ্যেই আমরা তা ঠিক করব।” তবে গুরুঙ্গ ফের জিটিএ প্রধান হতে পারেন বলেও হরকাবাহাদুর ইঙ্গিত দেন। হরকাবাহাদুর আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, দার্জিলিঙের উন্নয়নের জন্য সরকারের হাতে বহু প্রকল্প রয়েছে।
এ দিন জিটিএ-র কার্যকরী সদস্যদের এক বৈঠকেও একাধিক উন্নয়নমূলক কাজে গতি আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জিটিএ এলাকা পুনর্গঠনের সিদ্ধান্তও হয়েছে। ৮টি ব্লককে ভেঙে ১৮টি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রোহিণী ও পাঙ্খাবাড়ির রাস্তায় দ্রুত ‘টোল গেট’ চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে রোশন গিরি জানান। |