নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলা |
সিআইডির আর্জি খারিজ আদালতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় অভিযুক্ত তপন ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার ফের আবেদন জানাল সিআইডি। তবে, জেলা আদালতের বিচারক মধুমতি মিত্র এ দিন ওই আবেদন নাকচ করে দেন।
২০০৭ সালের ওই নিখোঁজ মামলার তদন্তের দ্বায়িত্বে থাকা সিআইডি সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ-সহ ৮৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে লক্ষ্মণ শেঠ, অমিয় সাহু, অশোক গুড়িয়া-সহ অধিকাংশ অভিযুক্ত এখন আদালতের নির্দেশে জামিনে রয়েছেন। ওই মামলাতেই অভিযুক্ত হিসেবে প্রায় দেড় বছরের বেশি পলাতক থাকার পর পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার সিপিএম নেতা তপন ঘোষ গত ৭ সেপ্টেম্বর ও সুকুর আলি ২৩ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। জেলা আদালতের নির্দেশে দু’জনেই এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন। সুকুর আলিকে রাখা হয়েছে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারে। তপন ঘোষকে রাখা হয়েছে তমলুক সংশোধানাগারে। |
|
জেলা আদালতে তপন ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র। |
তপন ঘোষের জেল হেফাজত হওয়ার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর জেলা আদালতে আবেদন জানিয়েছিল সিআইডি। আদালতের নির্দেশেই তপন ঘোষকে জেল হেফাজতে জেরা করার অনুমতি পেয়েছিল সিআইডি। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার ফের জেলা আদালতে আবেদন করেন মামলার সিআইডি’র তদন্তকারী অফিসার তীর্থঙ্কর সান্যাল। এ নিয়ে আদালতে শুনানির পর জেলা ও দায়রা বিচারক সিআইডি’র আবেদন নাকচ করেন।
সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আদালতে নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলা র বিচারপ্রক্রিয়া আগামী ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। জেলা আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নির্দেশের জেরে জেলা আদালতে নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলার বিচার শুরুর জন্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চলছে। চলছে শুনানিও। ওই শুনানির জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বর মামলার অভিযুক্তদের হাজির হওয়ার পরবর্তী দিন ধার্য করেছিল জেলা আদালত। এ দিন জেলা আদালতের বিচারক ওই শুনানির দিন এগিয়ে এনে আগামী ২৬ নভেম্বর অভিযুক্তদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
|
পুরনো খবর: নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় এ বার আত্মসমর্পণ তপনের |
|