সুতাহাটায় তছরুপে অভিযুক্ত তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত
ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে প্রায় বারো লক্ষ টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠল গতবার ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল পরিচালিত সুতাহাটার গুয়াবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।
সুতাহাটা ব্লকের ওই পঞ্চায়েতে এ বার ক্ষমতায় রয়েছে সিপিএম। অভিযোগ, এনআরইজিএ-র ছ’টি প্রকল্প ও ত্রয়োদশ অর্থ কমিশনের টাকায় দু’টি প্রকল্পের কাজ আদৌ না করে, কাজ হয়েছে দেখিয়ে টাকা খরচ করা হয়েছে। ওই পঞ্চায়েতের বৈষ্ণবচক ও রায়নগর গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ এ বিষয়ে বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বিডিও শুভেন্দু রায় বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান শেখ সাবিরুদ্দিন বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসার পর এলাকাবাসীর একাংশ লিখিত ভাবে আর্থিক তছরুপের কথা জানিয়েছিলেন। আমি নিজে সরেজমিন তদন্তে দেখেছি অভিযোগ ঠিক। গোটা বিষয়টি বিডিওকে জানিয়েছি।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের শেখ শাহনওয়াজ। তাঁর দাবি, “নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই কাজ হয়েছে। এখন রাজনৈতিক উদ্দেশে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।” তবে, গতবার ওই এলাকা থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের গঙ্গারানি দোলাই বলেন, “ওই প্রকল্পগুলির কোনও কাজ হয়নি বলেই জানি। প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক, এত টাকার খরচ কী ভাবে দেখানো হল।” প্রসঙ্গত, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পাশাপাশি পঞ্চায়েতে দুর্নীতি ও অনুন্নয়ন এর জন্যই এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের হার হয়েছে বলে তৃণমূলের একাংশের মত।
অভিযোগ অনুযায়ী প্রকল্পগুলি হল, ২০১২ সালে বৈষ্ণবচক গ্রামে অনন্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে সাধন দোলাইয়ের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ও মোরামের কাজের জন্য ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। ওই আর্থিক বছরেই বৈষ্ণবচক শ্মশানে মাটি ফেলার কাজের জন্য ১ লক্ষ সাড়ে ৮ হাজার টাকা। ওই বছরেই ওই গ্রামে শিবনাথ দাসের বাড়ি থেকে রতন দোলাইয়ের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটির কাজের জন্য ১ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা। শিবনাথ দাসের বাড়ি থেকে নিরঞ্জন দোলাইয়ের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি, মোরাম ও পাইলিং-এর কাজের জন্য ১ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা। রয়েছে আরও কিছু প্রকল্প। অভিযোগ সেগুলির কোনটিরই কোনও কাজ হয়নি। অথচ প্রতিটির জন্য অর্থ নেওয়া হয়েছে ত্রয়োদশ অর্থ কমিশন থেকে।
দলের সুতাহাটা লোকাল কমিটির সদস্য বিকাশ মণ্ডল বলেন, “গুয়াবেড়িয়া পঞ্চায়েতে ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ, রাস্তা তৈরি-সহ কোনও উন্নয়নই হয়নি। ফলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় নিতাই দোলাই বলেন, “প্রকল্পের কাজ প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে করা হোক। আমরা চাই দলাদলি নয়, প্রকৃত উন্নয়ন হোক।”
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.