চেয়ারম্যান নির্বাচনের ১৩ দিন কেটে গিয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান এখনও ঠিক হয়নি। পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলও গঠন করা যায়নি। পুরসভার পূর্ণাঙ্গ বোর্ড গঠিত না হওয়ায় বালুরঘাট শহরে নাগরিক পরিষেবার কাজ ব্যাহত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৪ অক্টোবর বালুরঘাট পুরসভার দখল নেয় সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল। আগে ৪৪ বছর ধরে পুরবোর্ডের ক্ষমতায় ছিল আরএসপি। ওই দিন চেয়ারপার্সন হিসাবে চয়নিকাদেবীকে নির্বাচিত করে অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যায়। তার পর ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ঠিক করা নিয়ে জল্পনা অব্যাহত। শহরে পথবাতি থেকে নর্দমা ও জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ ঠিক মতো না হওয়ায় বাসিন্দাদের ক্ষোভ বাড়ছে।
নাগরিকদের একাংশের অভিযোগ, নিয়মিত সাফাই না হওয়ায় বেশ কিছু এলাকায় নর্দমার জল রাস্তায় উপচে পড়ছে। কাউন্সিলরদের জানিয়েও লাভ হয়নি। বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারপার্সন চয়নিকা লাহা বলেন, “কালীপুজোর জন্য পুরসভার চুক্তিভিত্তিক সাফাই কর্মী শ্রমিকের উপস্থিতি নিয়ে সমস্যা ছিল। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ পুরবোর্ড গঠন হওয়ার কথা। সমস্যা মিটে যাবে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র জানান, পুজো মরসুমের কারণে সমস্যা বলেও শীঘ্রই ওই পদগুলি পূরণ করে পূর্ণাঙ্গ বোর্ড গঠন করা হবে। পুরসভার আরএসপির কাউন্সিলার তথা প্রাক্তন চেয়ারপার্সন সুচেতা বিশ্বাস বলেছেন, “ক্ষমতাসীন পুর প্রতিনিধির মধ্যে সমন্বয় না-থাকায় এই শহরে উন্নয়নের গতি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। দৈনন্দিন নাগরিক পরিষেবা বেহাল হয়ে গিয়েছে।” এদিন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাদের অভিযোগ, সবজি ও মাছের উচ্ছিষ্ট-সহ ময়লা রাস্তার পাশে নোংরা ফেলার জায়গায় দীর্ঘ দিন ধরে পড়ে থাকছে। এতে দুর্গন্ধে দোকানে বসাই দায় হয়ে পড়েছে। গোটা শহর জুড়ে মশার দাপট বেড়ে গিয়েছে। |