বেহাল ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দ্রুত মেরামতির দাবিতে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির প্রজেক্ট ডিরেক্টরের অফিসে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখালেন মালদহের তৃণমূল যুব কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকেরা। শুধু তাই নয়, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কর্মীরা অফিসের ভিতরে ঢুকে প্রজেক্ট ডিরেক্টর মহম্মদ সৈইফুল্লাকে জোর করে মিষ্টি খাইয়ে ধিক্কার জানান বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টর ১৫ নভেম্বরের মধ্যে জাতীয় সড়ক মেরামতের কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভ আন্দোলন তুলে নিয়ে অফিসের তালা খুলে দেওয়া হয়। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে একঘন্টা ধরে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের এই আন্দোলনের জেরে পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়িতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যানজট হয়। |
ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন এনএইচ-এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর মহম্মদ সৈইফুল্লা। তিনি বলেন, “এটা কী ধরণের আন্দোলন। এটা ঠিক নয়।” তিনি জানান, চার লেনের জাতীয় সড়ক তৈরি করার জন্য প্রশাসনের কাছে ১৭২ হেক্টর জমি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মালদহ জেলা প্রশাসন ৬৭ হেক্টর জমি দিতে পারেনি। ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি চার লেনের কাজ শুরু হয়েছিল। ২০১৩ সালের অগষ্ট মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। জমি পেয়ে গেলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মালদহে চার লেনের কাজ শেষ হয়ে যেত। এভাবে আমাকে হেনস্থা করা হত না। সারা বছর জাতীয় সড়ক মেরামতের কাজ করা হয়। এখনও কাজ চলছে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “মালদহ থেকে ময়না ৭০ কিলোমিটার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের যে জায়গায় চারলেনের কাজ হয়েছে, তা বাদ দিলে বাকিটা বেহাল। মন্ত্রী, প্রশাসন সবাই মেরামতির জন্য এনএইচকে অনুরোধ করেছে। তার পরেও কোনও হেলদোল নেই। বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামতে হয়েছে। এত ভাল কাজ করছেন বলেই তো মিষ্টি খাইয়েছি।” তিনি জানান, বেহাল জাতীয় সড়কে রোজ দুর্ঘটনা ঘটছে। ১৫ নভেম্বরে মধ্যে কাজ না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
জমি না মেলার প্রসঙ্গে জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক সঞ্জীব চাকী বলেন, “চার লেনের জন্য জমির সঙ্গে বেহাল সড়কের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে এটা ঠিক জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ যতটা জমি চেয়েছিল, আমরা সমস্ত জমি দিতে পারিনি। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।” জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “শীঘ্রই জাতীয় সড়ক কতৃর্পক্ষকে জমি হস্তান্তর করা হবে।” |