স্থায়ী বাস ও ট্যাক্সি স্ট্যান্ড নেই। নেই ট্রাক, অটো রিক্সা, বা ট্রেকার দাঁড়াবার জন্য কোনও নির্দিষ্ট জায়গাও। রাস্তার উপরেই সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ট্রাক, অটো ও ট্রেকার। এর জেরে প্রতিনিয়ত যানজটের সমস্যায় ভুগছেন ডুয়ার্সের কুমারগ্রামের বারবিশার বাসিন্দারা। নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে পথ দুর্ঘটনাও। যানজটে নাকাল হন বাসিন্দারা।
ট্রেকার ও অটোর দাপটে পথ চলা দায় হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, দীর্ঘদিন বারবিশায় স্থায়ী বাস অটো ও ট্যাক্সি স্ট্যান্ড স্থাপনের দাবি জানালেও সে দাবি পূরণ হচ্ছে না। এ নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। |
স্থায়ী স্ট্যান্ড না থাকায় যত্রতত্রই দাঁড়িয়ে থাকে অটো বাস-সহ নানা গাড়ি। বারবিশায় রাজু সাহার ছবি। |
বাসিন্দারা জানান, বছর পাঁচেক আগে তৎকালীন পরিবহণ মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী বারবিশায় এসে বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের জন্য দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন জমির ব্যবস্থা না করতে পারায় আজও সেই স্ট্যান্ড নির্মাণ হয়নি। বারবিশার উপর দিয়ে গিয়েছে ৩১সি জাতীয় সড়ক। ভুটান, অসম অরুণাচল, মেঘালয়-সহ বিভিন্ন রাজ্যের যাত্রিবাহি ও পণ্যবাহী গাড়ি বারবিশার উপর দিয়ে যাতায়াত করে। এ ছাড়াও এলাকায় প্রতি দিন চারশোরও বেশি অটো ও ট্রেকার চলে। প্রতি দিন কয়েকশো লরি, ট্যাক্সি বাস বারবিশার উপর দিয়ে যাতায়াত করে। এর পরে রয়েছে মোটরবাইক।
বারবিশার উপর নির্ভরশীল বেশ কিছু চা বাগান ও দশটি পঞ্চায়েতের লক্ষাধিক মানুষ। বারবিশার আশপাশে ভুটানঘাট, ফাঁসখোয়া, কালিখোলা, কুমারগ্রাম জয়ন্তী ও রায়ডাকের মতো বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্রও রয়েছে। বারবিশার উপর দিয়ে সেখানে প্রতি দিন পর্যটকরা যাতায়াত করেন। ফলে যানজট বারবিশার অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়ালেও প্রসাশন এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ। বারবিশা স্থায়ী ব্যবসায়ী সমিতি, বারবিশা হাট ব্যবসায়ী সমিতির তরফে দ্রুত এর সমাধান চেয়ে একাধিক বার পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিডিও ও এসডিও-র কাছে লিখিত দাবিও জানানো হয়েছে।
কুমারগ্রামের বিডিও শিলাদিত্য চক্রবর্তী নিজেও সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, বারবিশায় বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের জমি সমস্যা মেটাতে ভূমি সংস্কার দফতরের সাথে কথা বলব। এ ছাড়া কোনও জমি দাতা পাওয়া যায় কি না তা দেখা হবে। ভল্কা বারবিশা ১ পঞ্চায়েতের প্রধান অনিল কুমার সরকার বলেন, “বারবিশায় স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড ও ট্যাক্সি স্ট্যান্ড স্থাপন একান্ত জরুরি হলেও জমির অভাবে সেই সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। জমি খোঁজা হচ্ছে। জমি পেলেই স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড ও ট্যাক্সি স্ট্যান্ড স্থাপন করা হবে।” বারবিশা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কার্তিক সাহা বলেন, “দিন দিন জনসংখ্যা বাড়ছে। তার সঙ্গে বাড়ছে গাড়ির সংখ্যাও। প্রতিনিয়ত যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড স্থাপনের ব্যাপারে প্রসাশন উদ্যোগী হলে আমরা সাধ্যমতো সহযোগিতা করব।” |