টুকরো খবর
শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম
মুনিয়ারপুলে কৃষ্ণ সিংহের বাড়িতে বুধবার ছবিটি তুলেছেন নারায়ণ দে।
রান্না ঘরে উনুন ধরেনি। শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। হাসপাতাল থেকে কখন দুই শিশুর দেহ গ্রামে আসবে, সেই অপেক্ষায় বসে গ্রামের সকলেই। মঙ্গলবার পুকুরে স্নান করতে নেমে কৃষ্ণ সিংহ (৮) ও লক্ষ্মী রায় (১০)-এর মৃত্যু হয়। আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের মুনিয়ারপুল এলাকায় পুকুরে নেমে জলে তলিয়ে যায় দুটি শিশু। কৃষ্ণ দ্বিতীয় শ্রেণি এবং লক্ষ্মী স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক নিখিল নির্মল বলেন, “ঘটনাটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ঘটনার পর জানা গিয়েছে, ডুবুরিদের জলে নামার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই। খোঁজখবর করছি। প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার বন্দোবস্ত করা হবে।” এ দিন সকাল থেকেই দুই শিশুর বাড়িতে প্রতিবেশীদের ভিড় উপচে পড়ে। কৃষ্ণের মা সুমিত্রা দেবী কথা বলার শক্তি হারিয়েছেন। দিদি প্রতিমা সিংহ জানায়, ভাই পাশের বাড়ি লক্ষ্মী এবং কয়েকজন খেলছিলাম। পুকুরের ধারে যেতে হঠাৎ দুজনে স্নান করার জন্য নেমে পড়ে। আমি ওদের নিষেধ করেছিলাম। কথা শুনল না। চোখের সামনেই দুই জন তলিয়ে গেল। লক্ষ্মীর মা সুকুমারী রায় জানান, স্নানের জন্য উনুনে গরম জল বসিয়েছিলাম। ছোট মেয়ে সরস্বতীকে নিয়ে লক্ষ্মী খেলতে যায়। কিছুক্ষণ পরে এসে ছোট মেয়ে জানায় দিদি জলের তলায় চলে গিয়েছে। দৌড়ে গিয়ে দেখি কৃষ্ণের দেহ জলে ভাসছে। মেয়েকে আর পেলাম না। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। অভিযোগ, পুলিশ-দমকল খবর দেওয়ার অনেক পরে আসে। সময়ে ডুবুরি নামলে হয়ত দু’জনকে বাঁচানো যেত।

বিসর্জনে বিপাকে পুরসভা
কালীপুজোর প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে বিপাকে পুরসভা। পুলিশের তরফে প্রতিমা নিরঞ্জনে সময় দেওয়া হয়েছে ৭ নভেম্বর অবধি। তার পরের দিনই ছট পুজো। এতে নদীর ঘাট সাফাই করতে পুরসভার কর্মীদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “এ দিনও বহু প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়নি। প্রতিদিন বিসর্জন হচ্ছে। ছট পুজোর আগে এতে নদী এবং ঘাট পরিষ্কারে সমস্যা হচ্ছে।” জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “আজ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে সমস্ত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার জন্যে পুজো কমিটিদের নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। কোনও বারই এক দিন সব বিসর্জন হয় না।” করলার দূষণ নিয়ে সরব করলা নদী বাঁচাও কমিটির সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দুর্গাপুজোর সময় করলাকে দূষণমুক্ত করতে পুরসভা উদ্যোগী হয়। কালী পুজোর সময় সেটা কিন্তু সে ভাবে দেখা যাচ্ছে না।”

কলকাতায় মোর্চা নেতা
জেলবন্দি ও অনশনরত মোর্চা নেতা বিনয় তামাঙ্গের মুক্তির ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে কলকাতা গেলেন কালিম্পঙের বিধায়ক হরকাবাহাদুর ছেত্রী। দলীয় সূত্রের খবর, বুধবার হরকাবাহাদুর কলকাতায় গিয়েছেন। আজ, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে গিয়ে বিনয়বাবুর মুক্তির বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর আলোচনার কথা রয়েছে।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.