গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়ালের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বে থাকা ১০ জন সদস্য এখন জেলবন্দি থাকায় দৈনন্দিন কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটছে। তাই কী ভাবে জিটিএ-এর কাজকর্মের গতি স্বাভাবিক রাখা যাবে তা নিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার বৈঠক বসছেন সংস্থার কার্যনির্বাহী সদস্যরা। জিটিএ সূত্রের খবর, বৈঠকে এই বিষয়টি ছাড়াও পাহাড়ের উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই প্রসঙ্গে জিটিএ ডেপুটি চিফ এগজিকিউটিভ রমেশ আলে বলেন, “মূলত পাহাড়ের উন্নয়ম মূলক প্রকল্প নিয়েই বৈঠকে আলোচনা করা হবে। কেবলমাত্র কার্যনির্বাহী সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেবেন। পাশাপাশি, জেলবন্দি জিটিএ সদস্যদের দফতরের কাজকর্ম কী ভাবে স্বাভাবিক রাখা যায় তা নিয়ে কথাবার্তা হবে।”
জিটিএ সূত্রের খবর, বর্তমানে জিটিএ-র ১০ জন সদস্য জেলবন্দি। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্বে আছেন। যেমন অনিত থাপা জনস্বাস্থ্য কারিগরি, কল্যাণ দেওয়ান কৃষি, প্রভা ছেত্রী অঙ্গনওয়ারি দায়িত্বে আছেন। উল্লেখ্য, চিফ এগজিকিউটিভ থাকার সময় বিমল গুরুঙ্গের হাতে যে সমস্ত দফতর ছিল, সেগুলির দেখাশুনো করছেন ডেপুটি চিফ এগজিকিউটিভ নিজেই। বর্তমানে তিনিও চিফের দায়িত্বে আছেন। গত জুলাই মাসে পদত্যাগের পর থেকে গুরুঙ্গ আর জিটিএ দফতরে যান না।
রমেশ আলে বলেন, “জিটিএ-র দফতরগুলির একটা পুর্নবিন্যাস করা প্রয়োজন। কারণ, গুরুত্বপূর্ণ ওই দফতরগুলির প্রতিদিনের বহু কাজ থাকছে। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সবকিছু মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” তবে কী অন্য জিটিএ সদস্যদের মধ্যে নতুন করে দফতর বিলি করে তাঁদের কার্যনির্বাহী সদস্যের মর্যাদা দেওয়া হবে? এই প্রসঙ্গে রমেশ আলের সাফ বক্তব্য, “এই ধরণের কোনও চিন্তাভাবনা এখনও করা হয়নি।”
জিটিএ সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সংস্থার নতুন চিফ এগজিকিউটিভ নির্বাচনের বিষয়টিকে আলোচ্যসূচিতে রাখা হয়নি। বিমল গুরুঙ্গের ইস্তফার পর ২৭ সেপ্টেম্বর বিন তামাঙ্গকে নতুন চিফ নির্বাচিত করেন জিটিএ সদস্যারা। কিন্তু তিনি জেলবন্দি থাকায় তিনি শপথ নিতে পারেননি। নিয়ম অনুসারে, এক মাসের মধ্যে নতুন চিফ নির্বাচিত করার নিয়ম থাকলেও তা এখনও হয়নি। রমেশ আলে বলেন, “এদিনের বৈঠকে চিফ নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে না। রাজ্য সরকারের তরফে এই ব্যাপারে আমরাও এখনও কোনও চিঠি পাইনি। তা পেলে বৈঠক ডাকা হবে।” |