কাজের প্রলোভনে অন্যত্র পাচার ও পরে উদ্ধার হওয়া কিশোরীদের কী ভাবে স্বনির্ভর করা যায় সেই সংক্রান্ত এক আলোচনা সভা হয়ে গেল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর-২ এর বিডিও উদ্যোগে বুধবার ওই আলোচনা সভায় হাজির ছিল পাচারের পরে উদ্ধার হওয়া কয়েকজন কিশোরীও।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন ব্লকে বিশেষত, কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, ক্যানিং, গোসাবা, বাসন্তীতে বেশিরভাগই দুঃস্থ মৎস্যজীবী পরিবারের বাস। আর এই সব পরিবারের দারিদ্রের সুযোগ নেয় নারী পাচারকারীরা। পরিবারের কিশোরীদের ভিন রাজ্যে ভাল কাজের প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করে দেয় তারা। এদের বেশিরভাগেরই ঠাঁই হয় যৌনপল্লিতে। পরে পুলিশের সাহায্যে এই সব মেয়েদের অনেকে উদ্ধার হলেও অনেকেরই পরিবার আর তাদের ফিরিয়ে নিতে চায় না। সেই সব মেয়েদের স্বনির্ভর করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টাই ছিল আলোচনা সভার উদ্দেশ্য। বিডিও ত্রিদিব সর বলেন, “উদ্ধার হওয়া কিশোরীদের পড়াশোনা শিখিয়ে স্বনির্ভর করে তোলার সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই কাজে আাথির্ক সহায়তার জন্য প্রশাসন যেমন আছে তেমনই কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও সঙ্গে নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ওই সব কিশোরীদের পরিবারের কাজের ব্যবস্থা ও তাঁরা যাতে ঋণ পান তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমনকী বিভিন্ন হস্তশিল্প শিখে তারা যাতে স্বনির্ভর হতে পারে তাও দেখা হচ্ছে। এ দিন দু’জন কিশোরী এবং তাদের পরিবারের হাতে যথাক্রমে ৫০০ ও হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক, রায়দিঘি থানার ওসি প্রমুখ।
|