দলীয় কর্মীর স্মরণসভায় এসেও রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্র।
গত ৮ অক্টোবর কুলতলির কুন্দখালির গোদাবর গ্রামে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন কৃষক সভার নেতা ও সিপিএমের জোনাল কমিটির সদস্য ভরত নস্কর। এ দিন কুলতলির জামতলায় তাঁর স্মরণসভায় এসেছিলেন সূর্যবাবু। ছিলেন প্রাক্তন সুন্দরবন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ও দলের জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী।
রাজ্যে আলু নিয়ে এমন অবস্থার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেন সূর্যবাবু। তিনি বলেন, “উনি আলুর দাম ১৩ টাকায় বেঁধে দিয়েছেন। কিন্তু আপনারা কি সেই দামে পাচ্ছেন? যে ভাবে সার, ডিজেল, পেট্রোলের দাম বাড়ছে সেই হারে আপনারা কি ফসলের দাম পাচ্ছেন?”
|
তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সূর্যবাবু বলেন, “দাম বাড়ার কুফল তো আপনাদেরও ভোগ করতে হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সরব হন।” তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে তাঁর মন্তব্য, “করিম গাজি, ভরত নস্করকে খুন করে যদি আলুর দাম কমানো যায় তাহলে তা করতে পারেন। তবে সন্ত্রাস করে এখানে তৃণমূল কিছু করতে পারবে না। কারণ আমরা অতন্দ্র প্রহরীর মতো রয়েছি এখানে।”
রাজ্যে নারী নিযার্তন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কঠোরভাবে আক্রমণ করে সূর্যবাবু বলেন, “উনি তো কোনও জিনিসের দাম কমাতে পারেন না। তবে একটা জিনিসের দাম বেঁধে দিয়েছেন, মা বোনেদের ইজ্জতের দাম।” তিনি আরও বলেন, “রাজ্যের উপরে একটা নতুন আক্রমণ হতে চলেছে। বামপন্থীরা রাজ্যে কোনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হতে দেয়নি। গুজরাতের দাঙ্গার নায়ক নরেন্দ্র মোদী এখন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী, তাঁকেই এক সময় ফুল পাঠিয়েছিলেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী।” এ দিন সভায় প্রাক্তন ভূমি-ভূমি সংস্কার মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লার অনুপস্থিত থাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে সূর্যবাবু পাল্টা বলেন, “ওঁর আসার কথা ছিল নাকি?” সুজনবাবু বলেন, “ওঁকে বলা হলে শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসতে পারবেন না বলে জানান।”
এ নিয়ে রেজ্জাকবাবুর মন্তব্য, “গত কয়েকদিন জেলায় ঘুরেছি। এতটা ধকল সহ্য হয় না। পায়ের ব্যাথাও বেড়েছে। তাই যাইনি।” |