|
|
|
|
বিপিএল পরিবারে ডাকাতি, টাকা না পেয়ে গলায় কোপ
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পুরসভার বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পে বাড়ি তৈরি হচ্ছিল তমলুকের বিপিএল তালিকাভুক্ত এক পরিবারের। এই বাজারে পাকা বাড়ি করতে দেখে ওই গৃহকর্তার বাড়িতে প্রচুর টাকা আছে বলে ভেবেছিল দুষ্কৃতীরা। তাই মঙ্গলবার গভীর রাতে নির্মীয়মাণ পাকা বাড়ির কাঠের জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে হামলা চালায় তারা। পরিবারের চার সদস্যকে বেঁধে রেখে জিনিসপত্র তছনছ করার পরও নগদ টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত দুষ্কৃতীরা ভোজালির কোপ মারে পরিবারের কর্তা সুশান্ত প্রধানের গলায়। গুরুতর জখম হয়েছে তাঁর ছেলে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সুব্রত প্রধানও। দু’জনই তমলুক হাসপাতালে ভর্তি। জেলা পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন বলেন, “অত্যন্ত গরিব ওই পরিবারে দুষ্কৃতীরা লুঠপাট ও আক্রমণ চালিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।” |
হাসপাতালে জখম সুশান্তবাবু। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
তমলুক শহরের এক প্রান্তে রত্নালী এলাকায় হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে রাধাবল্লভপুর বাসস্টপ থেকে পূর্ব দিকে গঙ্গাখালি লকগেটগামী রাস্তার ধারে বাড়ি সুশান্ত প্রধানের। তমলুক শহরের একটি সরকারি গ্যাস বিতরণ সংস্থায় সিলিন্ডার বহণের কাজে যুক্ত সুশান্তবাবু। স্ত্রী, দু’ছেলেকে নিয়ে চার জনের ওই পরিবার বিপিএল তালিকাভুক্ত। বুধবার সকালে তমলুক শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রত্নালী এলাকায় ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল ঘরের মধ্যে চাপ চাপ রক্ত জমে। লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে ঘরের জিনিস।
নির্মীয়মাণ একতলা পাকা বাড়ির বারান্দায় সবে বাঁশের বেড়ার জানালা দেওয়া হয়েছে। সুশান্তবাবুর স্ত্রী মালতীদেবী বলেন, “রাত আড়াইটা নাগাদ জনা দশেক সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল বাঁশের জানলা ভেঙে ঘরে ঢোকে। মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। তারপর রুমালে, গামছায় মুখ ঢাকা চার জন আমাদের বেঁধে ফেলে। দুষ্কৃতীরা আমার কানের দুল, রুপোর গয়না, পিতলের বাসনপত্র লুঠ করে। তিনটি সাইকেলও নেয়। এরপর আমার স্বামীর গলায় ছুরি ঠেকিয়ে নগদ টাকা কোথায় রেখেছি তা জানতে চায়। টাকা না পেলে স্বামীকে খুনের হুমকি দেয়। ডাকাতদের বলি আমরা গরিব, সে জন্য সরকার থেকেই বাড়ি করে দিচ্ছে। আমাদের কাছে টাকা নেই। প্রমাণ দেওয়ার জন্য আমি ওদের ব্যাঙ্কের পাশবইও দেখাই।” তাঁর কথায়, “নগদ টাকা না পেয়ে ওরা আমার স্বামীর গলায় ধারলো অস্ত্রের কোপ মারে। হুমকি দেয় এক ঘণ্টা চুপ করে না থাকলে সবাইকে খুন করে দেবে।”
স্থানীয় সিপিএম কাউন্সিলর অভিজিৎ কর বলেন, ‘‘সুশান্তবাবুর পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। আমরা পুলিশের কাছে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।” |
|
|
|
|
|