|
|
|
|
বোথামের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টা হাঁটার ক্লান্তি নিয়ে সচিন উৎসবে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
খেলা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিয়ে ইডেনের ক্লাব হাউসের তিন তলা থেকে নামার জন্য লিফটের বোতাম টিপছেন দেখে নেহাত কৌতূহল মেটানোর জন্যই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রশ্নটা করতে হল। টিভি ক্যামেরার সামনে ম্যাচের পরের পর্যালোচনা না সেরেই বেরিয়ে যাওয়ার তাড়া কেন? কোনও সমস্যা? সৌরভ বললেন, “আর পারছি না। সকাল সাতটায় মাঠে এসেছি। তার পর সারা দিন ধরে কত কথা যে বললাম, তার কোনও ঠিক নেই। বেশ ক্লান্ত লাগছে। তাই আপাতত ইতি” চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপটা অবশ্য বেশ স্পষ্ট। তবে তা যে সচিন উৎসবের ধারাবিবরণী দেওয়ার জন্য, তা কিন্তু নয়। কারণটা অন্য।
সদ্য শ্রীলঙ্কায় ইয়ান বোথামের চ্যারিটি ওয়াক সেরে ফিরেছেন যে। ক্যান্ডি সিটি সেন্টার থেকে সমুদ্র-সৈকত ধরে পিনাওয়ালা পর্যন্ত টানা ৩১ কিলোমিটার হাঁটলে কে না ক্লান্ত হবেন? শুধু সৌরভ নন, এই হাঁটায় যোগ দিয়েছিলেন সুনীল গাওস্করও। তাঁর অভিব্যক্তিতেও ক্লান্তির ছাপ। দুঃস্থ ও প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের জন্য টাকা তুলতেই এই প্রচেষ্টা বোথামের। প্রতি বছরই এই উদ্যোগ নেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অলরাউন্ডার। অন্যান্য বছরে ডাক পড়ে বিশ্বের নানা প্রান্তের খেলোয়াড়দের, মূলত ক্রিকেটারদের। এ বার সৌরভের কাছে এসেছিল হাঁটার জন্য আবেদন। ব্যাপারটা কঠিন জেনেও হ্যাঁ করে দেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। এ দিন ইডেনের ক্লাব হাউসে দাঁড়িয়ে বলেন, “সাড়া না দিয়ে পারা যায়? এমন মহৎ কাজের সুযোগ। তবে বেশ টাফ ব্যাপারটা। টানা ৩১ কিলোমিটার হাঁটা তো আর মুখের কথা নয়। কোনও দিন হাঁটিনি। অভ্যাসও নেই। তাই আরও কঠিন লাগছিল। সমুদ্রের ধারের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে বেশ ভাল লাগে ঠিকই। কিন্তু অতটা হাঁটা। সত্যিই কঠিন। পাঁচ ঘণ্টা ধরে টানা হাঁটতে হয়েছে। আমাদের সঙ্গে দশ হাজার মানুষও ছিলেন। তা ছাড়া এর আগে স্টিভ ওয়, শেন ওয়ার্নরাও তো এই চ্যারিটি ওয়াকে হেঁটেছে।”
গুড ফাউন্ডেশন নামক এক সংস্থার জন্য লরিয়াস স্পোর্টসের আয়োজন করা এই হাঁটার সময় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়স তাপমাত্রা ছিল। এই তুমুল গরম উপেক্ষা করে হাঁটার অভিজ্ঞতার স্বাদ ফের পাওয়ার সুযোগ পেলে সাড়া দেবেন? উত্তরে হালকা হেসে উধাও সৌরভ।
|
|
|
|
|
|