জিজ্ঞাসাবাদের নামে এক যুবককে থানা লক-আপে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল সংশ্লিষ্ট থানার ওসি এবং দুই সাব-ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। পূর্ব পুঁটিয়ারির বাসিন্দা ওই যুবকের বাবা অমল মণ্ডল আদালতে অভিযোগে জানান, ১৬ সেপ্টেম্বর হরিদেবপুর থানার দু’জন এসআই, বিশ্বরূপ দত্ত ও রাজু দত্ত বাড়িতে এসে তাঁর ছেলে অমিত ওরফে গোপালকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে থানায় নিয়ে যান। অমলবাবু ছেলেকে গ্রেফতারের কারণ জানতে চাইলে রাজুবাবু তাঁকে ওসি সঞ্জীব ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। ওই রাতেই অমলবাবু থানায় গিয়ে দেখেন, ছেলেকে লক-আপে আটকে রাখা হয়েছে। ডিউটি অফিসারের কাছে ছেলেকে গ্রেফতারের কারণ জানতে চাইলে তিনিও অমলবাবুকে ওসি-র সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
ঘটনার পরের দিন, ১৭ সেপ্টেম্বর অমলবাবুরা যোগাযোগ করেন এক আইনজীবীর সঙ্গে। সুবীর চক্রবর্তী নামে ওই আইনজীবী জানান, তিনি সেদিনই অমলবাবুকে নিয়ে থানায় গিয়ে বিশ্বরূপবাবুর সঙ্গে দেখা করেন ও অমিতকে গ্রেফতারের কারণ জানতে চান। বিশ্বরূপবাবুও তাঁকে ওসি-র সঙ্গে কথা বলতে বলেন। সুবীরবাবু থানা থেকেই ওসি সঞ্জীববাবুর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, লালবাজারে ব্যস্ত আছেন। সুবীরবাবুর আরও অভিযোগ, ১৮ তারিখ অমিতের বিরুদ্ধে চুরির মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে অমিত জামিন পান।
এর পরেই সুবীরবাবু পুরো ঘটনাটি জানান পুলিশ কমিশনারকে। পাশাপাশি, ওসি-সহ ওই দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অমলবাবু মামলা দায়ের করেন মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। আদালত বিষয়টি ডেপুটি পুলিশ কমিশনারকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। আদালতে পেশ করা তদন্ত রিপোর্টে নানা অসঙ্গতির কথা তুলে সুবীরবাবু অভিযোগ করেছেন, ডিসি-র রিপোর্ট এক জন এসি পাঠালেও তাতে ডিসি-র কোনও সুপারিশ নেই। আগামী ২১ নভেম্বর বিষয়টি শুনানির জন্য রেখেছে আদালত। |