কর্মীর মাথায় বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করে দোকান থেকে সোনা লুঠ করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, সিঁথি থানার রায়পাড়া রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, দোকানটিতে সোনার গয়না তৈরি হয়। ওই সন্ধ্যায় দোকানে চার জন কাজ করছিলেন। বিভাস নামে এক কারিগর যখন দোকানে ঢোকেন, তখনই তাঁর পিছনে অপরিচিত চার ব্যক্তি দোকানে ঢোকে বলে পুলিশ জানায়। প্রথমে কর্মচারীরা তাদের খদ্দের ভেবে সোনার জিনিসের দাম নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। পুলিশ জেনেছে, ওই ব্যক্তিরা বাংলায় কথা বলছিল। অভিযোগ, আচমকাই তারা বন্দুক বার করে। তা দেখে তাদের বাধা দিতে যান দামোদর অধিকারী নামে এক কর্মচারী। তখনই এক দুষ্কৃতী বন্দুকের বাট দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে। এর পরে জোর করে প্রায় ৫৩০ গ্রাম সোনা লুঠ করে তারা পালায় বলে কর্মীচারীরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
ঘটনার পরেই কর্মীরা থানায় অভিযোগ জানান। স্থানীয়েরা জানান, তাঁরা কিছইু টের পাননি। কর্মচারীরাও তাঁদের কিছু জানাননি। বুধবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দোকান বন্ধ। দোকান-মালিক তুষার দলুই বেশ কিছু দিন হল বাইরে আছেন বলে জানান স্থানীয়েরা। কর্মচারীরাও নেই।
পুলিশের এক কর্তা বলেন, “কর্মীরা কোথায় গিয়েছেন, সেটা আমাদের জানাননি। দোকান তালা বন্ধ। এই বিষয়টিই আমাদের ভাবাচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি এই বিষয়টিও খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।” স্থানীয় সূত্রে খবর, কর্মচারীরা দোকানেই থাকতেন। কিন্তু বুধবার থেকে আর দোকান খোলেনি। দোকানের কাছেই বেশ কিছু বাড়ি আছে। সে ক্ষেত্রে, ভরসন্ধ্যায় চুরির ঘটনা অন্য কেউ টের পেলেন না কেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, “এখনও কেউ ধরা পড়েনি। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |