গাড়ি আটকে চাঁদার জুলুম, গণ্ডগোলে জখম ১৩
নিজস্ব সংবাদদাতা • কান্দি |
একবার রাস্তা আটকে চাঁদা চাওয়া হলে কান্দির জীবন্তি হাটপাড়ার বাসিন্দা মহিদুল শেখ ও তাঁর সঙ্গীরা তা মেনে নিয়েছিলেন। মহিদুল সালার থানার পোয়াগ্রামে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিল মোট দশটি গাড়ি ভর্তি আত্মীয়রা। তাঁদের গাড়ি আঙ্গারপুর ব্রিজের কাছে উঠতেই চাঁদা চাওয়া হয়। ৩০০ টাকা দিয়েও দেন তাঁরা। কিন্তু তার পর মাত্র একশো মিটার যাওয়ার পরেই আঙ্গারপুর ব্রিজের কাছে গাড়ি উঠলে ফের এক দল যুবক চাঁদা দাবি করেন। কান্দি-সালার রাজ্য সড়কে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়ি। বরযাত্রীদের অভিযোগ, ওই যুবকেরা গাড়ি প্রতি ৫০০ টাকা করে চাঁদা দাবি করেন। অত টাকা দিতে অস্বীকার করায় যুবকেরা বরযাত্রীদের গাড়িতে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। শুরু হয় বচসা। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও লেগে যায়। চাঁদা আদায়কারী যুবকরা অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে বরযাত্রীদের উপর চড়াও হন। লোহার রড নিয়ে বরযাত্রীরাও পাল্টা মারতে থাকেন বলে অভিযোগ। মারামারিতে বরযাত্রীদের ৮ জন এবং চাঁদা আদায়কারীদের ৫ জন মিলে ১৩ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের প্রথমে ভরতপুর ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁদের মধ্যে ৪ জনকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এর মধ্যে ২ জন বরযাত্রী। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুভরাজ শেখ নামে আহত এক বরযাত্রী বলেন, “গাড়ি প্রতি ৫০০ টাকা চাঁদার জন্য ওরা জুলুম করছিল। অত টাকা দিতে পারব না বলায় ওরা আচমকা আমাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে রড, লাঠি দিয়ে মারতে থাকে।” চাঁদা আদায়কারীদের অন্যতম বলে অভিযুক্ত জখম যুবক মোবারক শেখ বলেন, “আমরা চাঁদার জন্য জুলুম করিনি। ওরাই উত্তেজিত হয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়।” কান্দির সি আই পিন্টু সাহা বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
|
অধীরের বিরুদ্ধে তদন্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগের তদন্তের অনুমতি দিলেন মুর্শিদাবাদের সিজেএম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক শৌনক মুখোপাধ্যায়। অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার সিজেএম আদালতে আবেদন জানায় বহরমপুর থানার পুলিশ। এ দিন বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেছেন। অধীরবাবুর আইনজীবী পীযূষ ঘোষ বলেন, “পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করায় বিচারক তা মঞ্জুর করেছেন।” গত ২৭ অক্টোবর বহরমপুর এফইউসি ময়দানে ‘অধীর চৌধুরীকে মিথ্যা ষড়যন্ত্রে গ্রেফতারের চক্রান্তের বিরুদ্ধে’ ও ‘কংগ্রেস কর্মীদের উপরে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে’ সভা করে কংগ্রেস। ওই সভায় অধীর ‘পুলিশ ও তৃণমূলের যৌথ সন্ত্রাসের মাথা ভেঙে দেব’ বলেছেন বলে অভিযোগ। এরপর অধীরবাবুর বিরুদ্ধে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে গত ২৮ অক্টোবর নির্বাচন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করে জেলা তৃণমূল। অভিযোগ পেয়েই অধীরবাবুর মন্ত্যবের ভিডিও রেকর্ডিংয়ের কপি জেলা প্রশাসনের কাছে চেয়ে পাঠায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ওই অভিযোগে গত ৫ নভেম্বর অধীরবাবুর বিরুদ্ধে বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই মতো ওই সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
পুরনো খবর: দুর্যোগ কাটতেই সভায় উপচে পড়া ভিড়
|
অভিযুক্ত কংগ্রেস
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
তৃণমূলের ভোট প্রচারের ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে বহরমপুর থানায় পুলিশের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগে জানানো হয়। বহরমপুর থানার আইসি মেহায়মেনুল হক বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।” তৃণমূলের বহরমপুর শহর কমিটির নির্বাহী সভাপতি দিলীপ সিংহ রায় বলেন, “শহরের কয়েকটি ওয়ার্ডে ফ্লেক্সগুলি টাঙানো ছিল। ভোটে এ বার নিশ্চিত হার বুঝতে পেরে কংগ্রেসের গুন্ডারা ওই ফ্লেক্সগুলি রাতের অন্ধকারে ছিঁড়ে দিয়েছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে কংগ্রেসের বহরমপুর শহর কমিটির সভাপতি অতীশ সিংহ বলেন, “ভোট প্রচারে নেমে তৃণমূল বুঝতে পেরেছে, এ বারও বহরমপুরে তৃণমূলের জামানত জব্দ হবে। তাই ওঁরা নিজেরাই নিজেদের ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলে কংগ্রেসের ঘাড়ে দোষ চাপানোর ছক কষছেন।”
|
খুন যুবককে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
রহস্যজনক ভাবে খুন হলেন এক যুবক। সোমবার রাতের এই ঘটনায় মৃতের নাম নিত্য মণ্ডল (২৬)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাতে সেবকগ্রাম এলাকার রাস্তায় ওই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। |