মেহতাব বাঁচালেন ফালোপার চাকরি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
স্পোর্টিং ক্লুব ১ (ডসন পেনাল্টি)
ইস্টবেঙ্গল ১ (মেহতাব) |
ইনজুরি টাইমের শেষ মিনিটে মেহতাব হোসেন যখন ফ্রি কিকটা মারতে যাচ্ছেন মার্কোস ফালোপা তখন রিজার্ভ বেঞ্চে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে।
স্পোর্টিং বক্সের বা দিক থেকে মেহতাবের বাঁক খাওয়া শট জালে আছড়ে পড়তেই লাফিয়ে উঠলেন ইস্টবেঙ্গলের ব্রাজিলিয়ান কোচ। লাল-হলুদে আপাতত টিঁকে যাওয়ার পাসপোর্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দৌড়লেন মাঠে। খেলা ততক্ষণে শেষ। দলের অধিনায়ককে জড়িয়ে ধরে কনগ্রাচুলেট করার পর বলে দিলেন, “একটু দেরিতে হলেও তোমাদের আমি দেওয়ালির পার্টি দেব।”
গোয়া থেকে পরে ফোনে লাল-হলুদ কোচের প্রতিক্রিয়া, “যখন চতুর্থ রেফারি ইনজুরি টাইম দেখাচ্ছিলেন তখন মনে হয়েছিল আর হল না। তিন পয়েন্ট হাতছাড়া হচ্ছেই। কিন্তু মেহতাব যেখান থেকে টিমকে বাঁচিয়েছে সেখান থেকে গোল করা কঠিন।” আগের দিনের মিইয়ে যাওয়া গলায় যেন জোর ফিরে এসেছে।
নিশ্চিত হারের হাত থেকে দলকে এক পয়েন্ট এনে দেওয়ার পর ফালোপার টিমের মাঝমাঠের জেনারেলের প্রতিক্রিয়া কী? “দারুণ লাগছে। আই লিগে এ বার আমার প্রথম গোল। ফ্রিকিকে বহু দিন পর গোল পেয়েছি। এবং এমন সময় গোলটা পেলাম যে পুরো টিমটা স্বস্তি পেয়েছে। হেরে ফিরতে হচ্ছে না আমাদের।” পাশাপাশি মেহতাবের আফসোস, “গোলের দু’মিনিট আগের ফ্রি কিকটা যদি পোস্টে না লাগত তা হলে তিন পয়েন্টই পেয়ে যেতাম।”
ইস্টবেঙ্গল শিবিরের খবর ছিল, এই ম্যাচটা হারলেই কোচ পরিবর্তনের কথা ভাবা হবে। ট্রেভর মর্গ্যান-সহ বিভিন্ন নাম ঘোরাফেরা করছিল তাঁবুতে। ফলে, মঙ্গলবারের ম্যাচটা ছিল ফালোপার কাছে মরণ-বাঁচন ম্যাচ। মেহতাব আপাতত তাঁর চাকরি বাঁচিয়ে দিলেন। অন্তত ডার্বি পর্যন্ত ফালোপাকে নিয়ে আর টানাহ্যাঁচড়া হবে না বলেই মনে হয়। |
প্রথমার্ধের শেষ দিকে হরমনজিৎ খাবরা নিজেদের বক্সে ট্রিপ করেন স্পোর্টিং ক্লুবের ভিক্টোরিনো ফার্নান্ডেজকে। রেফারি পেনাল্টি দেন। ডাওসন গোল করেন। ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-০ এগিয়ে ছিল গোয়ার ক্লাব। রেফারি পাঁচ মিনিট ইনজুরি টাইম দেন। মেহতাবের গোল শোধ তখনই।
ইস্টবেঙ্গল টিমে কোচ এবং কিছু ফুটবলারের মধ্যে মতান্তর ও ঝামেলা চলছে বলে খবর। খেলাতেও তার প্রভাব পড়ছে। ছন্নছাড়া ফুটবল খেলছে পুরো দল। এর উপর যোগ হয়েছে গোল নষ্টের প্রদর্শনী। চোটের জন্য চিডি গোয়া যাননি। অন্য স্ট্রাইকার মোগাও এ দিন গোল করতে ব্যর্থ। ফালোপা অবশ্য রেফারির দিকে আঙুল তুললেন। “ফুটবলাররা বলছিল অনেকগুলি বাজে অফসাইড দেওয়া হয়েছে।” ৫ ম্যাচে মেহতাবদের পয়েন্ট সাত।
আজ বুধবারই শহরে পৌঁছোচ্ছেন ফালোপারা। মেহতাব-অর্ণবরা অবশ্য গোয়াতেই থেকে যাচ্ছেন। কারণ, আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ম্যাচের জন্য কোভারম্যান্স জাতীয় শিবির শুরু করছেন ৭ নভেম্বর গোয়াতে।
ইস্টবেঙ্গল: অভিজিৎ, খাবরা (নওবা), উগা, অর্ণব, রবার্ট, মেবতাব, সুবোধ (বলজিৎ), লোবো, ডিকা, জোয়াকিম (লেন), মোগা।
|