টানা পাঁচ দিনে ৬৬৯ পয়েন্ট বাড়ার পর মঙ্গলবার ফিরে তাকাল সেনসেক্স। রবিবার মুরতের পর প্রথম দিনের লেনদেনে সূচক পড়ল ২৬৫ পয়েন্ট। ২১ হাজারের ঘর থেকে নেমে এল ২০,৯৭৪.৭৯ অঙ্কে। এনএসই সূচক নিফটি-ও ৬৪.২০ পয়েন্ট পড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২৫৩.১৫ অঙ্কে। সোমবার ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে বন্ধ ছিল বাজার।
মঙ্গলবার অবশ্য চাঙ্গা ছিল টাকা। বাজারে মন্দা সত্ত্বেও বিদেশি আর্থিক সংস্থার শেয়ার কেনার আগ্রহ ছিল অব্যাহত। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত তারা ৪০০ কোটি ডলারের শেয়ার কিনছে দেশের বাজার থেকে। ফলে বাড়তি চাহিদার জেরে টাকার দাম বেড়েছে ১২ পয়সা। উত্থানে ইন্ধন জুগিয়েছে ব্যাঙ্ক ও রফতানিকারীদের ডলার বিক্রিও। ফলে দু’দিন টানা পতনের রেশ কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় টাকা। এ দিন বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৬১.৬২ টাকা।
মুরত লেনদেনে রেকর্ড ২১,২৩৯.৩৬ অঙ্কে বন্ধ হয় সেনসেক্স। সেখান থেকে আজ তা ১.২৫% পড়েছে। সেনসেক্সের অন্তর্গত ৩০টি শেয়ারের মধ্যে ২২টির দরই এ দিন ছিল পড়তির দিকে। পতনের পিছনে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যার মধ্যে রয়েছে:
• মুনাফা ঘরে তোলার তাগিদ
• বিশ্ব বাজারে মন্দা ভাব
• আন্তর্জাতিক সমীক্ষা অনুযায়ী পরিষেবা ক্ষেত্রের সঙ্কোচন
ভারতের পরিষেবা ক্ষেত্র নিয়ে এইচ এস বি সি/মার্কিট-এর সমীক্ষা অনুসারে পরপর চার মাস উৎপাদন কমেছে ভারতে। পার্চেজিং ম্যানেজার্স ইন্ডেক্স-এর ভিত্তিতে এই সূচক পরিষেবা ক্ষেত্রে কর্মকাণ্ড বাড়া-কমার বিশ্লেষণ করে। সেই হিসাবে সেপ্টেম্বরের ৪৪.৬ থেকে বেড়ে অক্টোবরে তা ছুঁয়েছে ৪৭.১ অঙ্ক। কিন্তু ৫০-এর নীচে এই সূচক থাকার অর্থই হল সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের সঙ্কোচন। পরিষেবা ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে, জানিয়েছে সমীক্ষা।
তবে অর্থনীতি নিয়ে আশার আলো দেখিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম ও যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়া। অর্থমন্ত্রী এ দিন ফের দাবি করেন, চলতি খাতে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে ঘাটতি ৬ হাজার কোটি ডলারের (৩ লক্ষ ৬৬ হাজার কোটি টাকা) নীচে বেঁধে রাখা যাবে চলতি অর্থবর্ষে। এর আগে তা ধরা হয় ৭ হাজার কোটি ডলার। পাশাপাশি, মন্টেক বলেছেন, অর্থনীতি তার সবচেয়ে খারাপ সময় পিছনে ফেলে এসেছে। অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ভাগে যে বৃদ্ধির হার ভাল হবে, পরিকাঠামো শিল্পে সেপ্টেম্বরে ৮% বৃদ্ধিই তার ইঙ্গিত।
এ দিকে মার্কিন ব্রোকারেজ সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাক্স-ও আজ ভারতের শেয়ার বাজারের ভবিষ্যৎ ভাল বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি কেন্দ্র ক্ষমতায় ফিরলে শেয়ার বাজার আরও চাঙ্গা হবে ধরে নিয়ে তারা এই ইঙ্গিত দিয়েছে।
|