শব্দবাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে অশান্তি ছড়াল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার দু’টি এলাকায়।
কাকদ্বীপের গণেশপুর গ্রামে বাড়ির সামনে শব্দবাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে পুজো কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শ্রীকান্ত দলুই নামে এক ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের লোকজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ক্লাবের কয়েক জনের বিরুদ্ধে শ্রীকান্তবাবু ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে মারধর এবং বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বাড়ির সামনে কয়েক জন কিশোর বাজি ফাটানোয় ধমক দেন শ্রীকান্তবাবুরা। এরপরই জড়ো হয়ে যান ওই কিশোরদের অভিভাবকরা। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা, ধাক্কাধাক্কি হয়। তার পরেই ওই পরিবারের লোকজন থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। থানা থেকে ফিরলে অভিযোগ করা নিয়ে অসন্তুষ্ট পাড়ার লোকজন ফের তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়ান বলে অভিযোগ। সেই সময় স্থানীয় পুজো কমিটির সদস্যদের ছোড়া ঢিলে ওই বাড়ির দু’টি জানলার কাচ ভেঙে যায় বলে জানিয়েছেন ওই পরিবারের সদস্য সোমা দলুই। তাঁদের আরও অভিযোগ, পুজো কমিটির ছেলেদের অত্যাচারে তাঁরা বাড়ি ঢুকতে পারছিলেন না।
পুলিশ জানিয়েছে, ওঁরা অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ পাঠিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে দেওয়া হয়েছে। ওই পরিবারটি নিজেদের বাড়িতে ঢুকে গিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
রবিবারই সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বসিরহাটের শিকারিবাগান এলাকার স্থানীয় একটি স্কুল চত্বরে কয়েক জন যুবক শব্দবাজি ফাটাচ্ছিল। পাশেই একটি ক্লাবে চলছিল বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান। ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি, ফাঁকা স্কুলের মধ্যে ছোড়া শব্দবাজির দাপটে বিঘ্ন ঘটছিল অনুষ্ঠানে। বাজি ফাটানো বন্ধ রাখার কথা বলতে গেলে অনিল দত্ত এবং সুভাষ দত্ত নামে দু’জন মারধরের হুমকি দেন। এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে। |