দায় এড়াচ্ছে পুরসভা-প্রশাসন
উপনির্বাচন হচ্ছে না কেন, প্রশ্ন জঙ্গিপুরের
পুরসভায় শূন্য আসনের কথা জানানোর দায়িত্ব কার?
চাপান-উতোর শুরু হয়েছে তা নিয়েই। তবে সোমবারও সে ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারল না পুরসভা কিংবা প্রশাসন। ফলে আপাতত ঝুলে রইল জঙ্গিপুর পুরসভার উপনির্বাচনের ভাগ্য।
আগামী ২২ নভেম্বর বহরমপুর-সহ ৫টি পুরসভার নির্বাচন। ওই দিনই রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার শূন্য আসনগুলিতে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সিপিএম সমর্থিত এক কাউন্সিলরের মৃত্যুর দু’বছর পেরিয়ে গেলেও জঙ্গিপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচন না হওয়ার পিছনে সিপিএমের বিরুদ্ধে ‘কৌশলী ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ তুলছে কংগ্রেস ও তৃণমুল।
বামেদের দখলে থাকা ওই পুরসভায় এখন যা অবস্থা তাতে নির্বাচন হলে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওই আসনে হার নিশ্চিত। এমনই দাবি বিরোধীদের। গত নির্বাচনে ওই আসনে মাত্র ৪ ভোটে জিতেছিলেন গাফ্ফার। এ বার সে সম্ভাবনা নেই। তাই বামেরা আর সেখানে ভোট করা নিয়ে আগ্রহী নয়। এমনই দাবি কংগ্রেস ও তৃণমূলের।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের মে মাসে মুর্শিদাবাদ পুরসভার সঙ্গেই ২০ সদস্যের জঙ্গিপুর পুরসভার নির্বাচন হয়েছিল। ২০১০ সালের ৩০ জুন ১৩ জনের সমর্থনে বোর্ড গঠন করে বামেরা। বাকি ৬ জন কংগ্রেসের। ২০১১ সালের ৩০ জানুয়ারি মারা যান ওই পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাম কাউন্সিলর আব্দুল গাফ্ফার। একই সময়ে মুর্শিদাবাদ পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে এক কাউন্সিলর মারা যান। মুর্শিদাবাদ পুরসভার ওই আসনে কিন্তু উপনির্বাচন ওই দিনই। অথচ জঙ্গিপুর পুরসভার উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়নি। জঙ্গিপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাউন্সিলরের মৃত্যুর পর এলাকার উন্নয়ন বন্ধইরয়েছে। সামান্য কিছুর জন্য ছুটতে হচ্ছে পুরপ্রধানের কাছে। এমন কি কাউন্সিলরের শংসাপত্র পেতেও হয়রান হতে হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাউন্সিলর না থাকায় খুব সামান্য দরকারেও ছুটতে হয় পুরপ্রধানের কাছে।
এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। জঙ্গিপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতা সমীর পণ্ডিত বলেন, “সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বাম প্রার্থী জিতেছিলেন মাত্র ৪ ভোটের ব্যবধানে। এবারে সেখানে হেরে যাওয়ার ভয়ে তাই নির্বাচন করতে চাইছে না সিপিএম।” তৃণমুল কাউন্সিলর মনীষা রুদ্র বলেন, “হারার ভয়েই আটকে রাখা হয়েছে এই উপনির্বাচন। প্রশাসনের উচিত পুরসভার কাছে কৈফিয়ত তলব করা।”
জঙ্গিপুরের সিপিএম পুরপ্রধান মোজাহারুল ইসলামের অবশ্য সাফাই, “আমরা জানাবো কেন? প্রতি দু’বছর অন্তর পুরসভা থেকে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনারের দফতরে রিপোর্ট পাঠানো হয়। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনারেরই দায়িত্ব শূন্য আসনের সংখ্যা জেনে নেওয়া।”
মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, “প্রশাসনের কাছে জঙ্গিপুর পুরসভায় আসন শূন্য হওয়ার কোনও খবর নেই। পুরবোর্ডের উচিত ছিল যথাসময়ে তা জানানো।” তবে জেলা প্রশাসনও যে দায় নোতে পারে না কমিশনারের কথায় তা স্পষ্ট। রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে বলেন, “জেলা প্রশাসন জঙ্গিপুরের শূন্য আসনের ব্যাপারে দু’বছরেও আমাদের কিছুই জানায়নি। জেলাশাসক না জানালে কমিশন উপনির্বাচন ঘোষণা করতে পারে না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.