কালীপুজো ও দীপাবলি উপলক্ষে উত্তরে বেআইনি শব্দবাজি ধরার অভিযান অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বেশ খানিকটা সফল বলে দাবি করছে কলকাতা পুলিশ। উত্তরের শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ের কাছে অমিয়বাবুর বাজারের সামনে থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত প্রায় ২০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে টালা থানা। অভিযোগ আসছিল শ্যামবাজার, শোভাবাজার, গিরিশপার্কের বিভিন্ন এলাকা-সহ চিৎপুর থানা এলাকার কয়েকটি জায়গায় অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে বাজি। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, এর পরেই অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় নিষিদ্ধ বাজি। সার্বিকভাবে নিরাপত্তার কথা ভেবেই কলকাতা পুলিশের আর্জি ছিল বাজি কেবল মাত্র বিক্রি হবে বাজি বাজারেই। সেই মতো নির্দেশিকা না মানলে বাজেয়াপ্ত করা হবে বাজি। |
কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে এ বছর টালা সার্কাস ময়দানে শুরু হয়েছে উত্তরের প্রথম বাজির বাজার। নর্থ বাজি বাজার সমিতি সূত্রে খবর, প্রথম বছরেই ৪২টি স্টল নিয়ে বেশ সাফল্যের সঙ্গে শুরু হয়েছে বাজারটি। খুশি বিক্রেতারাও। পুলিশের তরফে নির্দেশিকা কঠোরভাবে কার্যকর করাটাই নর্থ বাজি বাজারের সাফল্য বলে মানছেন পুলিশের কর্তা থেকে ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, এ ব্যাপারে নিয়মিত পুলিশকে তথ্য দিয়ে তাঁদের সহযোগিতাও ছিল। এ কথা মানছেন কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকও। তিনি জানান, সেই সঙ্গে ছিল সোর্সের খবর। পাশাপাশি কালো তালিকাভূক্ত ৯০টি বাজি যাতে বাজি বাজারে বিক্রি না হয় তার নিয়মিত নজরদারি চলছে। অন্য নামের কিছু বাজি চিহ্নিত করা হয়েছে যা তালিকায় নেই অথচ ৯০ ডেসিবেল পেরোতে পারে বলে মনে করা হয়েছে। নর্থ বাজি বাজার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি শুভঙ্কর মান্না বলেন, “ক্রেতাদের মধ্যে শব্দবাজি কেনার একটা ঝোঁক রয়েছে। চেষ্টা করেছি তাঁদের বোঝানোর। ব্যবসায়ীদের একত্রিত করে বাজারে আনতে মেলার পনেরো দিন আগে থেকে অটোয় প্রচারও কাজে এসেছে।” ডিসি (নর্থ) গৌরব শর্মা বলেন, “কালীপুজোর বিকেল পর্যন্ত উত্তরে প্রায় ৬০০ কেজি-র মতো নিষিদ্ধ বাজি আটক হয়েছে। গ্রেফতার হন একাধিক ব্যক্তি।” ব্যবসায়ী ও পুলিশের সমন্বয়ে আটক বাজির পরিমাণটা অন্য বারের তুলনায় বেশি বলে মানছে প্রশাসন।
|