গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) চিফ এক্সিকিউটিভ পদে ফের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বিমল গুরুঙ্গের উপরে দলের পক্ষ থেকেই চাপ বাড়ানো হল। সম্প্রতি পাহাড় সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্থায়ী চিফ এক্সিকিউটিভ নির্বাচন করার কথা বলেছিলেন। জিটিএ আইন অনুসারে, কেউ চিফ এক্সিকিউটিভ হলে একমাসের মধ্যে শপথ গ্রহণ করতে হবে। ২৭ সেপ্টেম্বর জেলবন্দি বিনয় তামাঙ্গকে ওই পদে মনোনীত করা হয়। তিনি জেল থেকে ছাড়া না পাওয়ায় শপথ নিতে পারেননি। এক মাস পার হয়ে যাওয়ায় নতুন চিফ মনোনয়নের জন্য মোর্চাকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
যদিও মোর্চা সভাপতি গুরুঙ্গ নিজে ওই পদে বসতে আর ইচ্ছুক না বলে গত ২৭ অক্টোবরের পাহাড়ের জনসভার জানান। গুরুঙ্গ বলেছেন, “আমার লক্ষ্য গোর্খাল্যান্ড। কোনও সরকারি পদে বসা আমার লক্ষ্য নয়।” ওই সভায় একাংশ মোর্চা সমর্থক হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসেন। তাতে গুরুঙ্গকে ওই পদে বসার আবেদন জানানো হয়। পাশাপাশি, জনমুক্তি অস্থায়ী কর্মচারি সংগঠনের পক্ষ থেকেও গুরুঙ্গের হাতে ওই দাবিতে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংগঠনের সভাপতি মাচেন্দ্র সুব্বা বলেন, “আমরা বিমল গুরুঙ্গকে ফের ওই পদে দেখতে চাই। আমরা ওঁর কাছে দাবির কথা জানিয়েছি। ওঁর প্রতি আমাদের বিশ্বাস ও ভরসা রয়েছে।”
একইভাবে ৪৫ সদস্যের জিটিএ সভার অধিকাংশ সদস্যই গুরুঙ্গকে ওই পদে দেখতে চান বলে মোর্চার সহকারি সম্পাদক জ্যোতি রাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “দলীয় স্তরে বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি ঠিকই। তবে আমরা চাই সভাপতি ফের ওই পদে বসুন। অস্থায়ী কর্মচারি সংগঠনও একই দাবি তুলেছে।” গত জুলাই মাসে ওই পদ থেকে পদত্যাগ করে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের কথা ঘোষণা করেছিলেন গুরুঙ্গ।
জিটিএ-র ডেপুটি চেয়ারম্যান লোপসাং ইয়লমো বলেন, “নতুন চিফ নির্বাচনের দিন ঘোষণা সরকারকে করতে হবে। কিন্তু সে ব্যাপারে কোনও চিঠি এখনও পাইনি। ততদিন কর্নেল রমেশ আলে দায়িত্ব সামলাবেন। ওই সরকারি চিঠি পেলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” আর মোর্চা সভাপতির ফের ওই পদে বসা নিয়ে ডেপুটি চেয়ারম্যান বলেন, “বিমল গুরুঙ্গ একটি পদ থেকে কেবল ইস্তফা দিয়েছেন। উনি এখনও জিটিএ সদস্য। তাই দল মনে করলে উনি ফের ওই পদে বসবেন। তবে উনি এখনও চিফ এক্সিকিউটিভ পদে ফের বসতে রাজি নন।”
|