শিলিগুড়ি পুরসভার উপ-নির্বাচনের দিনক্ষণ এগিয়ে আসতেই রাজনৈতিক কাজিয়া শুরু হয়ে গেল কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। আগামী ২২ নভেম্বর শিলিগুড়ি পুরসভার ১১ এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন হবে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবে’র বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। ওই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছে কংগ্রেস। তবে অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী।
কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক শঙ্কর মালাকারের অভিযোগ, “গত দু’দিন ধরে মন্ত্রী পুর এলাকার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি লালবাতি গাড়ি নিয়ে প্রচার শুরু করেছেন। নিজের দফতর থেকে এলাকার উন্নয়নের বাসিন্দাদের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। সরকারি ক্ষমতার অব্যবহার করে আরআর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভা, শক্তিগড় ৫ এবং ৮ নম্বর রাস্তায় এদিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করেছেন।” তাঁর আরও বক্তব্য, “আমরা নির্বাচন কমিশনকে লিখিত ভাবে সব জানাচ্ছি। গত চার বছর ধরে কাউন্সিলরবিহীন ওই এলাকার জন্য মন্ত্রীই দায়ী। বারবার বলার পরেও দ্রুত উপ নির্বাচন করানোয় তিনি উদ্যোগী হননি”
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতমবাবু অবশ্য কংগ্রেসের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি কোনও বিধিভঙ্গ করিনি। সরকারি গাড়ি ৩১-ডি জাতীয় সড়কের ধারে রেখে হেঁটে ওই এলাকায় গিয়েছিলাম। আর গাড়ির লালবাতি ঢাকা ছিল। জাতীয় পতাকা বা পুলিশ পাইলট ভ্যান সঙ্গে ছিল না। এলাকার একটি অংশ আমার নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রে মধ্যে পড়ে। আমি বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।” তিনি জানান, কংগ্রেস নেতাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। নির্বাচন কমিশন শুধু কেন, তাঁরা যেখানে ইচ্ছা অভিযোগ করতে পারেন। আর উপ নির্বাচন কবে হবে তা আমি ঠিক করিনি। এসব কথা অর্থহীন। আসলে ভোটে হার নিশ্চিত বুঝতে পেয়েই কংগ্রেস নেতারা এই ধরণের মনগড়া অভিযোগ তুলছেন।
এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ গৌতমবাবু শক্তিগড় এলাকায় যান। সেখানে হেঁটে তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন। তাঁদের নানা সমস্যা, অভিযোগ, মতামত শোনেন। সেখানে ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীও ছিলেন। প্রায় ঘন্টা খানেক তিনি ওই ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ছিলেন। উল্লেখ্য, ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর চৈতালি সেন শর্মা ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করায় ওয়ার্ডটিতে ভোট হচ্ছে। পাশাপাশি, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নান্টু পালের কাউন্সিলর পদ খারিজ হয়ে যাওয়ায় ফের ভোট হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ৩১ নম্বর এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডে উপ নির্বাচনে মূলত ত্রিমুখী লড়াই হচ্ছে। তৃণমূল, কংগ্রেস এবং সিপিএমের মধ্যেই মূলত লড়াই হচ্ছে। ওয়ার্ডগুলিতে বিজেপিও প্রার্থী দিয়েছে। |