|
|
|
|
ডুবে গ্রাম, আলোর উৎসব ফিকে তমলুকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
চোখ ধাঁধানো মণ্ডপ আছে। আলোর রোশনাইও আছে। শুধু দর্শকের ভিড়টা যেন পাতলা। সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে দিয়েছে তমলুক শহরের কালীপুজোর মেজাজকে।
এক দিকে তমলুক-ময়না রাজ্য সড়ক আর অন্য দিকে তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক। কয়েক কিলোমিটারের ব্যবধানে থাকা এই দুই সড়ক ধরেই তমলুক ও পাঁশকুড়া ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার গ্রামের বাসিন্দারা প্রতি বছর তমলুক শহরে আসেন পুজো দেখতে। জেলা সদর তমলুক শহরের কালীপুজো এবছরও থিমের বৈচিত্র্যে রঙিন। তবে গত অগস্ট মাস থেকে জলমগ্ন পাঁশকুড়া, তমলুক ও নন্দকুমার ব্লকের প্রায় ২০০টির বেশি গ্রাম। যার জেরে দুর্গাপুজোর আনন্দ অনেকটাই ম্লান হয়েছিল। এখনও জল না নামায় রেশ এসে পড়ল কালীপুজোতেও।
তমলুক শহরের মণ্ডপগুলিতে শহরের বাসিন্দারা ছাড়াও পাঁশকুড়া ব্লকের প্রতাপপুর, রঘুনাথবাড়ি, পুরুষোত্তমপুর, রাধাবল্লভচক, তমলুক ব্লকের অনন্তপুর, হরিদাসপুর, নিকাশি, মিরিকপুর, কুরপাই, রাজনগর, শ্রীরামপুর, নন্দকুমার ব্লকের বরগোদা প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দারা সড়কপথে দল বেঁধে আসতেন। এ বার সেই সব গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি এখনও জলে ডুবে রয়েছে। ফলে অধিকাংশ বাসিন্দাই এখন হয় ত্রাণ শিবিরে না হয় উঁচু বাঁধে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন। ফলে এ বার পুজো দেখতে শহরে আসতে পারছেন না ওই সব এলাকার বাসিন্দারা।
তমলুক শহরের হাসপাতাল মোড়ের ফাইভ স্টার ক্লাবের সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া বলেন, “পাঁশকুড়া ও তমলুক ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে বহু লোক শহরে পুজো দেখতে আসেন। ওরাই আমাদের মণ্ডপের সামনে ভিড় জমিয়ে তুলত। কিন্তু ওই সব গ্রামের মানুষ এখন বেঁচে থাকার লড়াই চালাচ্ছেন। তাই অনেকেই আসতে না পারায় এ বছর দর্শক কিছুটা কম হবে। পুজোর খরচ বাঁচিয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াব।” জলমগ্ন এলাকার দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন তমলুক শহরের পুজো উদ্যোক্তা বাদামতলার উত্তরায়ণ ক্লাবের সম্পাদক প্রহ্লাদ ভট্টাচার্য, শালগেছিয়ার রাজদূত ক্লাবের সহ-সম্পাদক অভিজিৎ রায়ও। তাঁরা বলেন, “আমাদের কালীপুজোর মণ্ডপের দর্শকদের বড় অংশই বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসত। কিন্তু তাঁদের অনেকেই এ বার আসতে পারবে না। তবে পুজোর খরচ বাঁচিয়ে তাঁদের যতটা সম্ভব সাহায্য করব।” |
পুরনো খবর: বাঁধ বাঁধার কাজ শেষ, জল নামছে না তমলুকে |
|
|
|
|
|