সালগাওকরের কাছে ঘরের মাঠে হারের পর চনমনে ইস্টবেঙ্গলে যখন আচমকা অমাবস্যার অন্ধকার, তখন গোয়ার মাটিতে ডেম্পোর সঙ্গে ড্র করে যেন দীপাবলির আলো সমস্যা জর্জরিত মোহনবাগানে!
জয়ের হ্যাটট্রিক না হোক, এ বারের আই লিগে গোয়ার দলগুলোর বিরুদ্ধে নিজের সাফল্য শুক্রবারও ধরে রাখলেন করিম বেঞ্চারিফা। ঘরের মাঠে যখন ডেম্পো আর সালগাওকরের কাছে তিন গোল করে হজম করছে ফালোপার লাল-হলুদ ব্রিগেড, তখন সালগাওকরের বিরুদ্ধে পুরো তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়ার পর খুব বুদ্ধি করে ট্যাকটিক্যাল ফুটবল খেলে ডেম্পোর থেকে অ্যাওয়ে ম্যাচে এক পয়েন্ট ছিনিয়ে নিলেন বাগানের মরক্কান কোচ।
দুলের স্টেডিয়ামে এ দিনের ম্যাচ কোনও সময়ই দৃষ্টিনন্দন ছিল না। ছিল দুই কোচ করিম আর পাপাসের ট্যাকটিক্যাল লড়াই। ম্যাচ গোলশূন্য থাকলেও সবুজ-মেরুন শিবিরের দাবি, এটা মোহনবাগানের নৈতিক জয়।
বেটো-ক্লিফোর্ডদের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক ছিল বাগান ডিফেন্স। তবে কাউন্টার অ্যাটাকে গিয়ে বারকয়েক গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন কাতসুমি, এরিকরা। কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ হন। আরও একবার ওডাফার অভাব টের পেলেন করিম। বিপক্ষকে আলট্রা ডিফেন্সিভ খেলতে দেখেও ডেম্পো কিন্তু তেড়েফুড়ে আক্রমণে ওঠেনি। বরং প্রতি-আক্রমণে যাতে গোল না খেতে হয় সে দিকে নজর ছিল পাপাসের ছেলেদের। হোম ম্যাচ হলেও ডেম্পোকে দেখে মনে হয়নি জেতার জন্য তারা মরিয়া।
তার মধ্যেই অবশ্য ইনজুরি টাইমে শিল্টন পাল যদি বেটোর হেড অসাধারণ সেভ না করতেন, তা হলে হয়তো তিন পয়েন্টই গোয়ায় ফেলে আসতে হত করিমকে। মোহনবাগানকে। আবার এটাও ঘটনা, গোটা ম্যাচে ডেম্পোর তুলনায় মোহনবাগানই গোলের সুযোগ বেশি পেয়েছিল। করিমের পরনে এ দিনও ছিল সালগাওকর ম্যাচে পরা সাদা শার্ট আর হালকা খয়েরি ট্রাউজার। ডেরেক পেরেরার দলকে হারানোর পর সব ম্যাচেই করিম এখন সে দিনের লাকি পোশাক গায়ে মাঠে যাচ্ছেন। সালগাওকরের পর মুম্বই এফসি-র বিরুদ্ধেও জয় এসেছিল। তবে এ দিন করিম এক পয়েন্টেই খুশি। ফোনে বলে দিলেন, “দলের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। গোয়ার মাঠে ডেম্পোর বিরুদ্ধে এক পয়েন্টও বেশ ভাল।”
এরিক এখনও একশো ভাগ ফিট হননি। খেলা দেখেও তা বোঝা গিয়েছে। কাতসুমিও পুরো সুস্থ নন। তবু দুই বিদেশিকে শুরুতেই নামান করিম। “আমার হাতে বিকল্প ছিল না। ওরা না খেললে সমস্যায় পড়তাম,” ব্যাখ্যা বাগান কোচের।
মোহনবাগান: শিল্টন, ইচে, প্রীতম, শৌভিক, কিংশুক, ডেনসন, কাতসুমি, জাকির (আদিল), মনীশ (রাম), এরিক (রাজীব), সাবিথ।
|