তিনি কোনও ফুটবল তারকা নন। ঘোর আর্সেনাল সমর্থক। কিন্তু তাঁকে ফিট করার দায়িত্ব বর্তেছে চেলসি কোচ হোসে মোরিনহোর ঘাড়ে। তিনি অ্যান্ডি মারে। সাতাত্তর বছর পর প্রথম ব্রিটিশ উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন।
পিঠে অস্ত্রোপচারের পর আবার কোর্টে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মারে। যদিও চোটের ধাক্কায় বিশ্বের তিন নম্বর টেনিস তারকা লন্ডনেই খেলতে পারছেন না বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম আট প্লেয়ারের ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালস। এই অবস্থায় মারের তাড়াতাড়ি কোর্টে ফেরার লড়াইয়ে তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ফুটবল বিশ্বের ‘দ্য স্পেশ্যাল ওয়ান’। চেলসির কবহ্যাম গ্রাউন্ডের অত্যাধুনিক ট্রেনিং ব্যবস্থার সুবিধা নিতে মারেকে অনুমতি দিয়েছেন তোরেস-ল্যাম্পার্ডদের কোচ। কখনও জিমে, কখনও সুইমিং পুলে গত কয়েক দিন চেলসি ট্রেনিং গ্রাউন্ডে টেরি-মাতাদের ছাড়াও নিয়মিত দেখা যাচ্ছে অ্যান্ডি মারেকে! |
মোরিনহোর চেলসির সাহায্য পেয়ে উইম্বলডন জয়ী তারকা বলেন, “রিহ্যাব পুরোদমে চলছে। বাড়িতে বাইক চালালেও রিহ্যাবের অর্ধেক ট্রেনিং চেলসিতেই করছি।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “চেলসির সুইমিং পুলেই বেশি সময় কাটাচ্ছি। ওদের পুলের নীচে ট্রেডমিল আছে। ওখানে নিয়মিত দৌড়ে অনেকটা ফিট হয়ে উঠেছি। কারণ, ওই রকম ব্যবস্থা আশপাশে কোথাও নেই।”
মোরিনহোর সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন মারে। “প্রথম দিন দেখা হওয়ায় মোরিনহো ডেকে অনেকক্ষণ কথা বলেছিলেন। পরামর্শ দেননি কিছু। তবে বলেছেন, কোনও অসুবিধা হলে তাঁকে বলতে।” তোরেসদের পাশে ফিটনেস ট্রেনিংয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে মারের মন্তব্য, “প্রতিদিনই তোরেস-ল্যাম্পার্ডদের সঙ্গে দেখা হয়। কিন্তু ওদের বিরক্ত করি না। দুপুর দুটো-নাগাদ যাচ্ছি, যাতে ফুটবলারদের অসুবিধা না হয়।” কবহ্যামে ট্রেনিং শেষ করার আগে একদিন চেলসির অনুশীলন দেখতে আগ্রহী মারে। “আমি ফুটবল-ভক্ত। পরের সপ্তাহে চেলসির পুরো অনুশীলন দেখব।” |