মহাষ্টমীর রাতে দুর্গা মন্ডপে মহিলার উপর যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনার পরে এই জেলায় কোনও সংগঠনকে সোচ্চার হয়ে রাস্তায় নামতে দেখেননি বাসিন্দারা। দেখা যায়নি মোমবাতি মিছিলও। কিন্তু যে এলাকায় ওই ঘটনাটি ঘটেছে, গঙ্গারামপুরের সেই কালদিঘি এলাকার পদাতিক ক্লাবের কালী পুজোয় এবারে মণ্ডপ কাণ্ডের প্রভাব পড়েছে। তাঁরা ‘নারী নির্যাতন’ থিম করে কালীপুজোর আয়োজন করেছেন। পুরো মণ্ডপ জুড়ে মডেলের মাধ্যমে বধূ নির্যাতন থেকে পণ প্রথার বলি হয়ে নির্যাতিতার ভয়াবহ মৃত্যুর ছবি তুলে ধরে বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনার প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত হয় ক্লাবের তরফে। পদাতিক ক্লাবের কালীপুজো কমিটির সম্পাদক আনন্দ দাস বলেছেন, “কালদিঘির ঘটনা আমাদের নাড়া দিয়েছে। কালীপুজোর মাধ্যমে আমরা নারী নির্যাতন, বধূ হত্যার বিষয় তুলে ধরে সচেতনতার প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” লক্ষীর ভাঁড়ের আদলে মণ্ডপে দেবী এখানে নারীর প্রতীক। মডেলে পুড়িয়ে বধূ হত্যার মত দৃশ্য তুলে ধরা হবে। বলে উদ্যোক্তারা জানান। তাঁরা জানান, ঘটনাচক্রে কালদিঘি এলাকায় অষ্টমীর রাতে একটি ক্লাবের মন্ডপে ওই যৌন নির্যাতন এবং খুনের ঘটনা ঘটে। এ বারে সেই ঘটনার নিন্দা করে নারী নির্যাতনের বিষয়টি বাছাই হয়েছে। ক্লাবের অধিকাংশ তৃণমূল সমর্থক। তাঁদের সচেতনার এই উদ্যোগকে এলাকার বাসিন্দারাই শুধু নন, স্বাগত জানান তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রও। আজ, শুক্রবার তিনিই পুজোর উদ্বোধন করবেন। তিনি বলেন, “গঙ্গারামপুরে ভবিষ্যতে কালদিঘির ঘটনা না ঘটে সেই দিকে সকলকে নজর রাখতে হবে। শ্যামা পুজোয় মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা প্রচারের এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়।” |