|
|
|
|
পর্যটন-শহরে মাটির তলা দিয়েই বিদ্যুৎ চান মমতা
পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় • কলকাতা |
বিদ্যুতের ওভারহেড লাইন থেকে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট ঠেকাতে রাজ্যের পর্যটন-শহরগুলিতে মাটির তলা দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দৃষ্টান্ত হিসেবে রাজস্থানের জয়পুর শহরের কথা বলেছেন তিনি। সেই আদলেই বাংলার পর্যটন-শহরগুলির মধ্যে নবদ্বীপ ও বোলপুরে বিদ্যুতের লাইন বদলের কাজ প্রথমে শুরু হচ্ছে।
রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের খবর, ধীরে ধীরে সব পর্যটন-শহরেই ভূগর্ভে লাইন পেতে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা হবে। এর ফলে ঝড়ে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট ঠেকানো যাবে, কমবে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইন বদলের কাজ করানো হবে বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে। আপাতত নবদ্বীপ ও বোলপুরে এই কাজের জন্য বেসরকারি সংস্থা বেছে নিতে দরপত্র চাওয়া হয়েছে। ওই দুই শহরে মাটির নীচে কেব্ল পাতা শেষ হলে রাজ্যের অন্যান্য পর্যটন-শহরে এই কাজে হাত দেওয়া হবে। ওই সব শহরের তালিকায় দিঘা, শঙ্করপুর, সাগরদ্বীপের সঙ্গে সঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পংও। মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, বেশির ভাগ রাজ্যে পর্যটন-শহরগুলিতে মাটির নীচে কেব্ল পেতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। জয়পুরে ভূগর্ভে লাইন পেতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এ রাজ্যেও সেই ব্যবস্থা করা উচিত।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক কর্তা বলেন, নবদ্বীপ ও বোলপুরে ভূগর্ভে লাইন পাততে ৮০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। কাজ শুরুর বছর দেড়েকের মধ্যেই মাটির তলা দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হবে। তার পরে দিঘায় একই বন্দোবস্ত করা হবে বলে ওই কর্তা জানান। কোন কোন পর্যটন-শহরে মাটির তলা দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে, বণ্টন সংস্থাকে তার তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। কত খরচ হবে, জানাতে বলা হয়েছে তা-ও।
বিভিন্ন জেলা শহর তো বটেই, কলকাতা পুর এলাকারও কিছু ওয়ার্ডে ওভারহেড তারে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা থেকে গিয়েছে। সেখানেও মাটির তলায় বিদ্যুতের লাইন পাতার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। |
|
|
|
|
|