|
|
|
|
আজ থেকে কর্মবিরতির ডাক |
ভিন্ রাজ্যে আলু পাঠাতে বাধা, ফুঁসছেন ব্যবসায়ীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ভিন্ রাজ্যে আলু রপ্তানিতে বাধা দেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন ব্যবসায়ীরা। আজ, শুক্রবার থেকে কর্মবিরতির ডাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি হিমঘর থেকে আলু বের করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর আলু ব্যবসায়ী সম্পাদক বরেন মণ্ডল বলেন, “বাইরের রাজ্যে আলু না পাঠানোর সরকারি সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এমন নয় যে হিমঘরে কম আলু রয়েছে। যা আলু উৎপাদন হয়েছিল তার প্রায় ৩০ শতাংশ আলু এখনও রয়েছে। বাইরের রাজ্যে আলু না পাঠাতে পারলে কিছু দিনের মধ্যেই আলুর দাম এতটা কমে যাবে যে ব্যবসায়ীদের চরম ক্ষতি হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আর হিমঘর থেকে আলু বাইরে বের করব না।” |
|
জেলায় আরও বাড়তে পারে আলুর দাম। —ফাইল চিত্র। |
এ দিকে হিমঘর থেকে আলু না বার করা হলে আলুর দাম আরও অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা। প্রশাসনের দাবি, সরকারি অনুমতি ছাড়া কেউ অন্য রাজ্যে আলু নিয়ে যেতে পারবেন না। কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, “রাজ্যের মানুষ বেশি দামে আলু কিনবে, আর রাজ্যের আলু বাইরে যাবে তা তো হতে পারে না। রাজ্যের প্রয়োজন মিটিয়ে তবেই বাইরে আলু যাবে। ব্যবসায়ীদের কিছু দাবি থাকতেই পারে। আন্দোলনে না গিয়ে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আলু চাষ হয় ভালোই। গত বছরও প্রায় ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। হেক্টর প্রতি গড়ে ফলন হয়েছিল সাড়ে ২৪ টন করে। জেলায় আলু সংরক্ষণের জন্য ৭৬টি হিমঘর রয়েছে। উৎপাদনের প্রায় ৫০ শতাংশ আলু হিমঘরে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। জেলায় পর্যাপ্ত আলু থাকায় মাঝে আলুর দাম তেমন বাড়েনি। ফলে হিমঘর থেকে আলুও বের করেননি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু অন্য রাজ্যে আলুর দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত গতিতে হিমঘর থেকে আলু বেরোতে থাকে। তাতে রাজ্যেও আলুর দাম বেড়ে যায়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাজারগুলিতেও কেজি প্রতি ১৭-১৮ টাকায় আলু কিনতে হচ্ছে। হঠাৎ করে আলুর দাম বাড়ায় হওয়ায় রাজ্য সরকার বাইরের রাজ্যে আলু পাঠানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তা সত্ত্বেও কয়েক দিন ধরে ব্যবসায়ীরা বাইরে আলু পাঠানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বেশ কয়েকটি আলুর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। তাতেই ক্ষিপ্ত হন ব্যবসায়ীরা। যদিও বরেনবাবুর দাবি, “আমরা সরকারি দামেই আলু বিক্রি করব, সরকার কিনে নিক, নতুবা বাইরের রাজ্যে আলু পাঠানোর অনুমতি দিক। তা না হলে আর হিমঘর থেকে আলু বাইরে বের করব না। এর দায় নিতে হবে রাজ্য সরকারকেই।” |
|
|
|
|
|