একটি জমিকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক দিন ধরেই গোলমাল চলছিল গ্রামেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। বৃহস্পতিবার রাতে তা চরম আকার নেয়। খবর পেয়ে জঙ্গিপুরের জয়রামপুরপল্লি পাকুড়তলায় পুলিশ যেতেই জনতার একাংশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে পুলিশের। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সুমন্ত হালদার (২৫) নামে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের নবম ব্যাটেলিয়নের এক কনস্টেবলের। তাঁর বাড়ি নদিয়ার চাপড়ার মথুরাপুর গ্রামে। জখম জয়ন্ত বিশ্বাস ও গোপাল বসু নামে দুই পুলিশকর্মীকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন রাত আটটা নাগাদ জঙ্গিপুর পুলিশ ফাঁড়িতে পাকুড়তলার গোলমালের খবর আসে। |
তড়িঘড়ি জনা ছয়েক পুলিশ সাদা পোশাকে বেরিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই সংঘর্ষ বেধে যায় পুলিশের সঙ্গেই। অভিযোগ, কনস্টেবল সুমন্ত হালদারকে বেধড়ক মারধর করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। সুমন্তবাবু এক বছর চার মাস আগে সশস্ত্র পুলিশে যোগ দেন। গত ১৪ অগস্ট তাঁকে জঙ্গিপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আনা হয়।
রঘুনাথগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক আখরুজ্জামান বলেন, “ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ কয়েকজন তরুণকে মারধর করে। আর সেই কারণেই কিছু মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়ায় এমন কাণ্ড ঘটে গিয়েছে।” জঙ্গিপুরের পুরপ্রধান সিপিএমের মোজাহারুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ সাদা পোশাকে যাওয়ায় সম্ভবত তাদের চিনতে পারেননি এলাকার মানুষ। তাই এমন দূর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে।” তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য শেখ ফুরকান বলেন, “ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত।” |