কালীপুজোর দিন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে চূড়ান্ত ক্রিকেট-যুদ্ধের ঝনঝনানির ডেসিবেল কতটা উঠবে তা নিয়ে যখন সচিন-অস্তের বেদনার মধ্যেও তুমুল আলোচনা। তখন অস্ট্রেলিয়া ধোনির ভারতকে বার্তা দিল, একটা নিছক দু’দেশের একদিনের সিরিজের চেয়ে তাদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসেজ পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম। যার জন্য বেঙ্গালুরুতে ওয়ান ডে সিরিজ মীমাংসার ম্যাচের আগেও দলের প্রধান ফাস্ট বোলারকে দেশে পাঠিয়ে দিতে পারে অস্ট্রেলীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ভারতের ড্রেসিংরুমের জন্য সুখবর রানের মহোৎসবের সিরিজেও পাটা উইকেটে দু’দলের একমাত্র যে পেসার দাগ কেটেছেন, সেই অজি বোলার মিচেল জনসন-ই থাকছেন না শনিবারের ম্যাচে। অ্যাসেজ সিরিজের প্রস্তুতি নিতে জনসনকে ঘরোয়া শেফিল্ড শিল্ড খেলার জন্য দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিল ভারত সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দল।
তার পরেও অবশ্য ভারত অধিনায়ক চলতি ওয়ান ডে সিরিজে বোলারদের করুণ দশা নিয়ে যেন আতঙ্কিত! হয়তো ভাবছেন, বিপক্ষ শিবিরে না হয় জনসন নেই, কিন্তু অস্ট্রেলীয় ব্যাটিং-তাণ্ডব থামাতে তাঁর নিজের দলে ‘জনসন’ হয়ে উঠবেন শনিবারের এসপার-ওসপার ম্যাচে কে? খানিকটা মজা করে বললেও ধোনির মন্তব্যে এই সিরিজে বোলারদের দুর্দশা নিয়ে খেদ স্পষ্ট। “এই সিরিজের প্রতিটা ম্যাচেই যে রকম ঝুড়ি-ঝুড়ি রান উঠছে, এর পর না বোলাররা ভাবতে শুরু করে দেয়, ওদের বদলে বোলিং মেশিন বসিয়ে বোলিং করানো ভাল!” বলেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। |
রাঁচির ভেস্তে যাওয়া ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ২৯৫ রান বাদ দিলেও এই সিরিজে চারটে ওয়ান ডে-তে মোট রান উঠেছে ২৫৬৫। ধোনি যা নিয়ে বলেছেন, “সিরিজটা যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে দু’টো দলের মধ্যে কারা কম খারাপ বল করছে তার লড়াই!” তার পরেও অবশ্য ধোনি মনে করেন, বেঙ্গালুরুতে চূড়ান্ত যুদ্ধে বোলারদেরই আবিষ্কার করতে হবে, কী ভাবে এই রানের বন্যার সামনে বাঁধ তোলা যায়। “একেবারে পাটা উইকেটে, যেখানে পিচে আর্দ্র ভাবও প্রায় নেই-ই, সেখানে সেরা বোলার-সবচেয়ে দ্রুত পেসারকেও থার্ডম্যান, ডিপ ফাইন লেগকে পিছিয়ে রেখে বল করতে হয়েছে এই সিরিজে। বেঙ্গালুরুর পিচ দেখা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তারপর বোলারদের গেমপ্ল্যান করতে হবে কী ভাবে কী করা যায়।”
জর্জ বেইলি আবার নিজের বোলারদের তাতিয়ে তোলার অন্য উপায় নিচ্ছেন। “এ রকম পিচে আমাদের বোলাররা তো ভালই বল করছে। চূড়ান্ত লড়াইতেও ওদের উপর ভরসা রাখছি,” বলেছেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। |