সোনা কিনলেই মেহেন্দি ফ্রি!
আবার কোথাও একটা সোনার গয়না কিনলেই হাতে-হাতে উপহার মিলবে গৃহসজ্জার জিনিস থেকে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। এখানেই শেষ নয়, বিভিন্ন রকমের ছাড়-সহ গয়না কেনার পরে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে লটারিতে মিলতে পারে দামি গাড়িও! সঙ্গে তো গরম শিঙারা বা ঠান্ডা পানীয়ও রয়েইছে।
কথিত আছে, কুবের ধনসম্পদের দেবতা। ভূত চতুর্দশীর আগের দিন অর্থাৎ ত্রয়োদশীর দিন কুবেরের পুজো হয়। তাই সেই সময়ে তাঁকে তুষ্ট করতেই সোনা-রুপো কিংবা যে কোনও সম্পদ কেনার প্রচলন ছিল অবাঙালিদের মধ্যে। কিন্তু কালের পরিবর্তনের সঙ্গেই বাঙালি মননেও জায়গা করে নিয়েছে কুবেরের প্রভাব। তবে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মতে, আকর্ষণীয় বিভিন্ন উপহার ও দ্রব্যমূল্যের উপর বিশেষ ছাড়ের হাত ধরেই বাঙালিয়ানায় জায়গা করে নিয়েছে প্রধানত অবাঙালিদের উৎসব ‘ধনতেরাস’। |
বৌবাজারের এক সোনার দোকানের সেলস্ বিভাগের প্রধান ব্রহ্মানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সামনেই বিয়ের মরসুম। আর ধনতেরাসের সময়ে বিভিন্ন নতুন ধরনের গয়না বাজারে আসে। তাতে বিশেষ ছাড়ও পাওয়া যায়। তাই অধিকাংশ ক্রেতাই এই সময়টাকে কেনাকাটার জন্য বেছে নেন।”
ক্রেতাদের এই মানসিকতা বিশ্লেষণ করেই ধনতেরাস উৎসবকে পুরোপুরি বাণিজ্যে পরিণত করে ফেলেছেন ব্যবসায়ীরাও। প্রতি বছর এই সময়েই বাজারে আসে বিভিন্ন ধরনের, আঙ্গিকের গয়না। যেমন এ বার লেকটাউন এলাকার একটি পুজোর প্রতিমাকে যে সমস্ত নকশার গয়না পরানো হয়েছিল, ‘গৌরী কালেকশন’ নামের ওই গয়না এ বার মিলছে বৌবাজারের একটি দোকানে।
তবে গত বছরের থেকে এ বছর ধনতেরাসে ক্রেতার সংখ্যার হেরফের হয়নি বলেই মনে করেন বৌবাজারের একটি সোনার দোকানের এমডি অনর্ঘ্য চৌধুরী। তাঁর কথায়, “ভিড় একই রকম রয়েছে। রাত বাড়ার সঙ্গেই ভিড় বাড়ছে।” তবে ছোট দোকানগুলির বাজার এ বার তেমন জমেনি বলেই মত বৌবাজারের ছোট ব্যবসায়ীদের। |