|
|
|
|
রাস্তার কাজে জট, শুনে এলেন ডিএম
নিজস্ব সংবাদদাতা • পান্ডবেশ্বর |
বড় কোনও ঘটনা না ঘটলে এত দিন স্মারকলিপি দিতে বা আর কোনও কাজে দফতরে গেলে তবেই দেখা মিলত আধিকারিকদের। তবে এ বার সমস্যা শুনতে দরজায় হাজির হলেন খোদ জেলাশাসকই।
বুধবার পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের কেন্দা, নবগ্রাম ও বৈদ্যনাথপুর পঞ্চায়েত এলাকা ঘুরে দেখেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। রাতে কুমারডি গ্রামের অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এলাকাবাসীর মুখোমুখি হয়ে তাঁদের দাবিদাওয়া শোনেন। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, পাণ্ডবেশ্বরের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, ইসিএলের বাঁকোলা এরিয়ার জিএম এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য অধিকর্তারা। |
|
চলছে বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র। |
হাতের নাগালে জেলাশাসককে পেয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ডাস্টবিন সব সমস্যার কথাই তুলে ধরেন এলাকাবাসী। কুমারডি গ্রামের বিকাশ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, পাণ্ডবেশ্বর আলাদা ব্লক হলেও কোনও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। ওই গ্রামেরই শঙ্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, পাণ্ডবেশ্বর থেকে দুর্গাপুরের যোগাযোগ খুবই জরুরি। কারণ আদালত থেকে মহকুমা হাসপাতাল সবই ওখানে। অথচ সরাসরি কোনও যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। জেলাশাসক বিডিও-র কাছে জানতে চান উখড়া-কুমারডি রাস্তা নিয়ে কোনও পরিকল্পনা আছে কিনা। বিডিও জানান, ইসিএল ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা পূর্ত দফতরে জমা দিয়েছে। তবে জেলা পরিষদ, পূর্ত দফতর না ইসিএল, কে কাজটা করবে তা নিয়ে জট না কাটায় কাজ শুরু হয়নি। জেলাশাসক পূর্ত দফতর ও ইসিএলের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দেন মহকুমাশাসককে। আপাতত মোরাম ফেলে ওই রাস্তা চলাচলের উপযোগী করার নির্দেশও দেন। আর স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রসঙ্গে জানান, পৃথক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অনুমোদন মিলেছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
আরেক বাসিন্দা মল্লিকা রুইদাসের অভিযোগ, বাড়ির কাছে ডাস্টবিন না থাকায় রোজই দূরে গিয়ে নোংরা ফেলে আসতে হয়। প্রায় সঙ্গেসঙ্গেই বাঁকোলার জিএম জেলাশাসককে জানান, দ্রুত তাঁরা ইসিএলের খরচে দু’টি ডাস্টবিন নির্মাণ করে দেবেন। তবে সাফাইয়ের দায়িত্ব নিতে হবে পঞ্চায়েতকেই। আরেক বাসিন্দা, রামচরিত পাসোয়ান জানান, নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কল রয়েছে। কিন্তু প্রায়ই তাতে জল মেলে না। ফলে কুয়োই ভরসা। এছাড়া কুমারডি গ্রামের নিকাশি নিয়েও ক্ষোভ জানান বাসিন্দারা।
অভাব অভিযোগ জানানোর পরে অতিথির খাওয়ার বন্দোবস্তো করেন গ্রামবাসীরাই। মেনু ছিল, খাসির মাংস, আলুপোস্ত, ভাত, রুটি, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি ও স্যালাড। জেলাশাসক জানিয়েছেন, প্রতি মাসেই বিভিন্ন গ্রামে এ ধরণের পরিদর্শন চালানো হবে। |
|
|
|
|
|