|
|
|
|
রাস্তা জুড়ে সাইকেল, চলা দায় স্টেশন রোডে
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
সকাল হোক বা বিকেল, অথবা রাত। জাতীয় সড়ক থেকে অন্ডাল শহরে ঢুকতে নর্থবাজার এলাকা দিয়ে যাওয়া স্টেশন রোড মানেই দুঃস্বপ্নের।
রাস্তার দু’পাশ দখল হয়েছে হকারদের হাতে। ফুটপাথ নেই। তাই রাস্তার বাকি অংশে একই সঙ্গে সমস্ত যানবাহন ও পথচারীদের যাতায়াত, গাড়ি পার্কিংও। সমস্যা ক্রেতা-বিক্রেতা দু’তরফেই। এমনকী থানা থেকে পুলিশের গাড়িও বেরোতে গিয়ে বিপাকে পড়ে। অবিলম্বে সমস্যা সমাধানের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, ইংরেজ আমলে তৈরি হয়েছিল তৎকালীন জি টি রোডের অন্ডাল মোড় থেকে স্টেশন যাওয়ার রাস্তা। সিমেন্টের ইট দিয়ে তৈরি রাস্তার দু’পাশে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বেড়েছে জনবসতি। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দোকানপাট। কিছুদিন আগে পর্যন্ত মানুষজন হেঁটে বাজার করতেন। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে বাই-সাইকেল, মোটরবাইক। বেড়েছে চার চাকা গাড়ির সংখ্যাও। কিন্তু পার্কিংয়ের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার দু’পাশেই এমন ভাবে সাইকেল দাঁড় করানো থাকে যে পথচলতি মানুষকে বিপাকে পড়তে হয়। একে হকারেরা রাস্তা দখল করে নিয়েছেন। তার উপরে ফুটপাথের ব্যবস্থা নেই, রাস্তারও বেহাল দশা। একটু বৃষ্টি হলে ঘিঞ্জি পরিবেশে চলাফেরা, বাজার করা দায়। |
|
দিনরাত সাইকেলের ভিড়ে ঠাসা স্টেশন। —নিজস্ব চিত্র। |
বাজারের বেশির ভাগ খুচরো ব্যবসায়ী, যাঁরা শাক সবজি, ফল, মাছ বিক্রি করে থাকেন, রাস্তার উপরে বসেই ব্যবসা করেন। ব্রিটিশ আমলে বাজার বসত হাটতলায়। পরে তা রাস্তার ধারে চলে আসে। কেন? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সব্জি বিক্রেতার দাবি, “বাজার রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় হাটতলা বাজার এলাকা নোংরা, আবজর্নায় ভরে যায়। ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন।” তাঁর আরও দাবি, বর্তমানে রাস্তার ধারের এই বাজারের পরিস্থিতিও এমন দাঁড়িয়েছে যে ব্যবসায়ীরা রেললাইনের ওপারে সাউথ বাজারে চলে যাচ্ছেন। বাজার কমিটির সভাপতি অনন্ত চক্রবর্তী বলেন, “অস্থায়ী সব্জি বিক্রেতারা নর্থ বাজার ছেড়ে সাউথ বাজারে গিয়ে বসেন। তাই রকমারি সব্জি পেতে মানুষকে রেললাইনের তলা দিয়ে যাওয়া পুল পেরিয়ে সাউথ বাজারেই যেতে হয়।”
শুধু সাধারণ মানুষ নয়। পুলিশকর্মীদেরও সমস্যায় পড়তে হয় এমন পরিস্থিতির জন্য। যানজটে পড়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে তারাও মাঝে-মধ্যে সমস্যায় পড়েন বলে দাবি তাঁদের। অন্ডাল নর্থ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির মুখ্য উপদেষ্টা প্রদীপ সাহা বলেন, “প্রাথমিক ভাবে বাজারে একটি সাইকেল স্ট্যান্ড গড়া খুব প্রয়োজন। বেশ কয়েক বার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় স্ট্যান্ড তৈরি করা যাচ্ছে না।” তিনি জানান, বিকল্প কী ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। |
|
|
|
|
|