২১ হাত প্রতিমা তৈরি হচ্ছে দিনহাটার ‘নাম নেই সঙ্ঘ’-এর কালী পুজোয়। হবে মেলাও। দিনভর নানা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যেও ওই কালীপুজোর আয়োজন সামলাচ্ছেন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক উদয়ন গুহ। ‘নাম নেই সঙ্ঘ’ পুজো ও মেলার আয়োজক হলেও অনেকের কাছে যা উদয়নবাবুর পুজো নামেই বেশি পরিচিত।
কারণ, কলেজ-বন্ধুদের সঙ্গে মিলে সূচনার অন্যতম কারিগর ছিলেন যুবক উদয়ন। সময়ের প্রবাহে বয়স বেড়েছে তাঁর। দিনহাটার বিধায়ক হয়েছেন। জেলার রাজনীতির অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা সম্পাদক। কিন্তু পুজো কিংবা মেলার টান এড়াতে পারেন না। তাই এবারেও আয়োজকের ভূমিকায় প্রতিমা তৈরি থেকে মেলার প্রস্তুতি সবে সমান উৎসাহী তিনি। দিনহাটার বিধায়কের কথায়, “কলেজ জীবনে বন্ধুদের সঙ্গে পুজো শুরু করেছিলাম। তখন বয়স ছিল ২১ বছর। এখন ৬০ বছর চলছে। কিন্তু উৎসাহটা কমেনি। এবারেও তাই পুজো থেকে মেলার জাঁকজমকে খামতি রাখতে চাইছি ন।”
উদ্যোক্তারা জানান ১৯৭৫ সালে ওই পুজো শুরু হয়। প্রতিমার উচ্চতা ২১ হাত। দেবী কৃষ্ণবর্ণের। লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় মৃৎশিল্পী সত্য পাল ও তাঁর সহযোগীরা বিশালাকার প্রতিমার কাজ প্রায় সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন। তান্ত্রিক মতে পুজো হবে। পাঁচটি মাথার খুলি পুঁতে আসন বিছিয়ে পুরোহিত বসবেন। দেবী প্রতিমার সামনে বসে মন্ত্রোচ্চারণ করে আয়োজকদের তরফে ফি বছর উদয়নবাবু পুজো শুরু করতে পুরোহিতকে আর্জি জানান। রাতভর পুজো চলে, পাঁঠা, পায়রা, শোল মাছ, কুমড়ো, আখ বলির রেওয়াজ, এমনকী পুজোর রাতে পশু বলির রক্ত টিকা কপালে পড়ে। রাত জাগেন বিধায়ক। |