|
|
|
|
একশো দিনের কাজের প্রকল্প |
নভেম্বরেই জেলায় বায়োমেট্রিক হাজিরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আঙুলের ছাপে হাজিরার খতিয়ান নিতে এ বার একশো দিনের কাজের প্রকল্পেও চালু হচ্ছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। এ রাজ্যে ‘পাইলট প্রোজেক্ট’ হিসেবে জঙ্গলমহলের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরে আগামী নভেম্বরে প্রথম এই পদ্ধতি চালু হবে। এ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে ‘টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস্’-এর (টিসিএস) চুক্তি হয়েছে। তারাই নতুন এই পদ্ধতি চালুর দায়িত্ব পেয়েছে।
একশো দিনের কাজ নিয়ে হামেশাই নানা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আগে সমীক্ষা হয়েছিল। তাতে নানা কারচুপি ধরা পড়ে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মাস্টার রোলে শ্রমিকদের সই মেলেনি। কাজ করেছেন একজন, মজুরি পেয়েছেন অন্যজন। বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হলে এই সমস্যা মিটবে বলেই মনে করছে প্রশাসন। তা ছাড়া, কাজ শেষে মজুরির জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষাও করতে হবে না। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সরাসরি শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মজুরির টাকা জমা পড়ে যাবে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হলে প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা আসবে। জেলার মঘ্যে প্রথম মেদিনীপুর সদর ব্লকে এই পদ্ধতি চালু হবে। পরে অন্য ব্লকেও তা চালু করা হবে।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, অক্টোবরের গোড়ায় টিসিএসের প্রতিনিধি তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরে এসে সব দিক খতিয়ে দেখে গিয়েছেন। একশো দিনের কাজ প্রকল্পের জেলা নোডাল অফিসার প্রিয়াঞ্জন দাসের সঙ্গে তাঁর বৈঠকও হয়। জানা গিয়েছে, এ জন্য প্রথম পর্যায়ে ৫০০টি ‘হ্যান্ড হেল্ড ডিভাইস’ জেলায় আসবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই যন্ত্রগুলি জেলায় আসার কথা। প্রতিটি সংসদ এলাকায় একটি করে যন্ত্র পাঠানো হবে।
এ পদ্ধতিতে ঠিক কী হবে?
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এখন মাস্টার রোলে শ্রমিকদের হাজিরা নেওয়া হয়। পরে তা গ্রাম পঞ্চায়েতে এলে সব মিলিয়ে দেখা হয়। তারপর অর্থ বরাদ্দ হয়। ফলে, কাজ শেষের পর মজুরি পেতে ন্যূনতম ২০-২৫ দিন লেগে যায়। বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হলে যন্ত্রে শ্রমিকের আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। ছাপ নেওয়ার এক-দেড় মিনিটের মধ্যে ডাটাবেসে সংরক্ষিত তথ্য থেকে ওই শ্রমিকের নাম-পরিচয় মিলিয়ে নেওয়া যাবে। এ জন্য জেলার সর্বত্র ‘ইলেকট্রনিক্স ফান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (ইএমএস) চালু করার চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে যে সব ব্যাঙ্কে ‘কোর ব্যাঙ্কিং সিস্টেম’ (সিবিএস) রয়েছে, সেখানে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্ট খোলা বা স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে। এমনিতেই এখন ই-মাস্টার রোলে কাজ হয়। অর্থাৎ, কোন কাজ কে কে করবে, কাজ শেষ হতে কতদিন লাগবে, তা আগে থেকে জানা যায়।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হলে শ্রমিকদের সুবিধে হবে। শুরুতে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তা সমাধানে পদক্ষেপও করা হবে। নভেম্বরের গোড়ায় টিসিএসের কয়েকজন টেকনিক্যাল পারসেন আসবেন। তারপরই সদর ব্লকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হবে।” |
পুরনো খবর: ১০০ দিনে মজুরের সচিত্র পরিচয়পত্র, পরিকল্পনা রাজ্যের |
|
|
|
|
|