১০০ দিনে মজুরের সচিত্র পরিচয়পত্র, পরিকল্পনা রাজ্যের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
১০০ দিন কাজের প্রকল্পে মজুরদের জন্য ‘বায়োমেট্রিক’ পদ্ধতি চালু করার কথা ভাবছে রাজ্য।
শুক্রবার বর্ধমান শহরে সংস্কৃতি লোকমঞ্চে জেলা গ্রামোন্নয়ন বিভাগ আয়োজিত ‘স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য আর্থিক সহায়তা’ শিবিরে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “কাজে গতি আনতে আমরা বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর কথা ভেবেছি। এই পদ্ধতিতে প্রকল্পের উপভোক্তাদের ছবি ও হাতের ছাপ-সহ কার্ড দেওয়া হবে।”
গোটা দেশের নিরিখে রাজ্য যে ১০০ দিনের প্রকল্পে পিছিয়ে রয়েছে, তা কবুল করে মন্ত্রী বলেন, “১০০ দিনের প্রকল্পে আমরা সারা দেশের তুলনায় বেশ পিছিয়ে রয়েছি। |
সভায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র। |
এটা অস্বস্তিজনক এবং পীড়াদায়ক। মাস তিনেক আগেও রাজ্যে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়ার গড় ছিল ১০ থেকে ১২ দিন। এখন সেটা টেনেটুনে ২৫ থেকে ২৬ দিনে দাঁড়িয়েছে। দেশের গড় ৪৫ দিন। ওই সর্বভারতীয় গড় আমাদের ছুঁতে হবে।”
জেলায় প্রকল্পের কর্তা ও কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “নিশ্চিন্তে কাজ করুন। এই প্রকল্প বাবদ টাকার অভাব নেই। দেখবেন, যেন টাকা ফেরত না দিতে হয়।” পঞ্চায়েত অফিসে গেলে ইন্টারনেট মারফত প্রকল্পের সমস্ত কাজের বিস্তারিত পরিসংখ্যান জানা যাবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
বর্তমানে বেশির ভাগ জায়গায় এই প্রকল্পে মাসে কয়েক দিন একটানা কাজ দেওয়া হয়। তার পরে মজুরদের সকালেই টানা ২০-২৫ দিন ধরে বসে আছেন। সুব্রতবাবুর আশ্বাস, “এই অবস্থার পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি। হাতে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ এক সঙ্গে নিয়ে চেষ্টা করা হবে যাতে শ্রমিকেরা একটানা কাজ পান।” এখন সাধারণত মাসে এক বার, কখনও দু’বার প্রকল্পের মজুরি দেওয়া হয়। মন্ত্রী বলেন, “সপ্তাহে অন্তত দু’দিন যাতে মজুরি দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা চলছে। ভবিষ্যতে কাজের শেষে প্রতি দিন মজুরি মিলবে।” |