ট্যাবলো, প্ল্যাকার্ড, মুখোশ, গোলাপের পাপড়ির পর সচিন কার্নিভ্যালে সিএবি-র নয়া সংযোজন ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণমুদ্রা। যা ইডেন টেস্টের প্রথম দিন টসের পর স্মারক উপহার হিসাবে দেওয়া হবে সচিন তেন্ডুলকরকে। সিএবি সূত্রে খবর, সাড়ে এগারো গ্রাম ওজনের ওই বিশেষ স্বর্ণমুদ্রার একদিকে থাকবে সচিনের ছবি। যার তলায় লেখা থাকবে ১৯৯ টেস্ট। মুদ্রার উল্টোপিঠে থাকবে ইডেন গার্ডেন্সের ছবি।
সিএবি থেকে সচিনের স্বর্ণমুদ্রা প্রাপ্তি অবশ্য এটাই প্রথম নয়। মাস্টার ব্লাস্টারের শততম শতরানের পর ১০০ গিনির বিশেষ উপহার দেওয়া হয়েছিল সিএবির তরফে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিএবি কর্তা বলেন, “সচিনের মতো মহানায়ককে কী ভাবে সম্মানিত করতে হয় তা অতীতে ১০০ গিনি দিয়ে দেখিয়েছিলাম আমরা। এ বার থাকছে স্বর্ণমুদ্রা। যা টসের পর দেওয়া হবে সচিনকে।”
|
শহর জুড়ে ঘুরবে সচিনের এই ট্যাবলো। —নিজস্ব চিত্র। |
শুধু কি স্বর্ণমুদ্রা! সঙ্গে থাকছে সচিন-হোর্ডিংও। যেখানে লিটল মাস্টার সম্পর্কে এক লাইনের শংসাপত্র দিয়েছেন ক্রিকেট দুনিয়ার হেভিওয়েটরা। নমুনা? ‘সচিনের মতো ক্রিকেটার সারা জীবনে এক বারই জন্ম নেয়’ বা ‘সচিনকে আউট করলেই অর্ধেক যুদ্ধ জেতা হয়ে যায়’ কিংবা ‘সচিন ৯৯.৫ শতাংশ পারফেক্ট’। বলেছেন লারা, আক্রম, কপিলদেব, ব্যারি রিচার্ডস, ভিভিয়ান রিচার্ডসের মতো ব্যক্তিত্বরা। সচিনকে নিয়ে ভিভ-লারা-কপিলদের এই ‘ওয়ান লাইনার’ হোর্ডিং দু’একদিনের মধ্যেই দেখা যাবে শহরের বিশেষ কুড়িটি জনবহুল জায়গায়। সিএবি কর্তারা জানাচ্ছেন, বিমানবন্দর থেকে বাইপাস, গড়িয়াহাট, শ্যামবাজার-সহ শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় দেখা যাবে এই সচিন-হোর্ডিং।
বৃহস্পতিবার থেকে সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শুরু হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ক্যারিবিয়ানদের তিন দিনের ম্যাচ। যে ম্যাচ খেলতে জাতীয় দলে সচিনের এক সময়ের সতীর্থ মহম্মদ কাইফ এই মুহূর্তে শহরে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০৩ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সচিনের সঙ্গে তাঁর ম্যাচ জেতানো ১০২ রানের পার্টনারশিপ সম্পর্কে বলতে গিয়ে এ দিন আবেগরুদ্ধ কাইফও। বলছেন, “কলকাতার ক্রিকেট জনতার জবাব নেই। মুম্বইয়ের মতোই হৃদয় দিয়ে সচিনকে বরণ করে নেবে কলকাতা।” |