|
|
|
|
অনুষ্ঠানের জন্য সকালে স্কুল, পরিদর্শকের ভূমিকায় ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া নিয়ে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের বিরুদ্ধে সরব হলেন একাংশ শিক্ষক।
বুধবার খড়্গপুর মহকুমার সবং পশ্চিম চক্রের চাউলকুড়ি বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের পরেই শিক্ষকদের ক্ষোভ চরমে পৌঁছয়। এ দিন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কানাই মান্নার বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন ছিল। সেখানে এলাকার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকেরা এসেছিলেন। সে জন্য এ দিন এলাকার বিভিন্ন স্কুলে নির্ধারিত সময়ের আগে সকালেই পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, আগে এই চক্রে শিক্ষক দিবসে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অনুমতি নিয়ে সকালে স্কুলের কাজ সেরে কেন্দ্রীয় ভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন হত। কিন্তু অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক পদে আশিস দে আসার পর গত দু’বছর ধরে তিনি সেই অনুমতি দেননি। অথচ এ দিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত শিক্ষকদের একাংশ নির্ধারিত সময়ের আগে স্কুলের কাজ সেরে অনুষ্ঠানে আসেন।
কংগ্রেস সমর্থিত পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির চক্র সম্পাদক লক্ষ্মীকান্ত হেমব্রম বলেন, “আগে স্কুলগুলি সকালে সেরে শিক্ষকেরা জাতীয় শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন। তবে নতুন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক আসার পর থেকেই ওই অনুষ্ঠানের অনুমতি দিচ্ছেন না। তবে এ দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শিক্ষকেরা সকালে স্কুল সেরেছেন বা বন্ধ রেখে এসেছেন।” তিনি আরও বলেন, “অনুষ্ঠানে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের উপস্থিতি আমাদের কাছে দ্বিচারিতা বলে মনে হচ্ছে।” তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষা সেলের চক্র সম্পাদক সুকুমার গোস্বামী বলেন, “জাতীয় শিক্ষক দিবস কেন্দ্রীয়ভাবে পালনে যিনি স্কুল সকালে করার অনুমতিতে বাধা দেন, তিনি কী ভাবে ওই অনুষ্ঠানে এলেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।” তবে আশিস দে-র দাবি, “শিক্ষক দিবস পালনের জন্য জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের মাধ্যমে অনুমতি নিতে হয়। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনায় গিয়েছিলাম। তবে ওই অনুষ্ঠানে কোনও স্কুল সকালে হয়েছে বা স্কুল বন্ধ করে শিক্ষকেরা এসেছেন বলে জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। যদিও এলাকারই খড়িকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুকান্ত মাইতি বলেন, “আমাদের স্কুল সকালে হওয়ার পরে আমরা ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম।” ঘটনার কথা শুনে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক সংঘমিত্র মাকুর জানান, নির্ধারিত সময়ের আগে স্কুল সকালে করতে গেলে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকই অনুমতি দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখব। |
|
|
|
|
|