ধান ও সব্জির টানে ঝাড়খণ্ড সীমানা পেরিয়ে দলের সঙ্গে এ-পারে ঢুকে পড়া একটি হস্তি শাবকের মৃত্যু হল। ঝালদা রেঞ্জের কলমা বিট এলাকার কিরিবেড়া গ্রামের অদূরে বুধবার সকালে ওই হস্তি শাবকটিকে ধানখেতে পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষ। বন দফতর সূত্রের খবর, মৃত শাবকটি বছর দুয়েকের। যে দলের সঙ্গে সে ছিল, সেই হাতির দলটি তিন দিন ধরে এই এলাকায় রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা নিরঞ্জন গোস্বামী, হারধন মাঝিরা জানিয়েছেন, ভোরের দিকে তাঁরা গ্রামের অদূরে প্রবল চিৎকার শুনতে পান। এই এলাকার যে সমস্ত গ্রামে হাতির দল প্রায়ই হানা দেয়, এ রকম অভিজ্ঞতা সেখানকার বাসিন্দাদের কাছে নতুন নয়। তাঁরা ভেবেছিলেন ফের হাতির দল হানা দিয়েছে। কিন্তু, সকালে উঠে তাঁরা দেখেন জমিতে বাচ্চা হাতির নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। হাতিটিকে দেখতে ভিড় জমে যায়। |
খবর পেয়ে সদর থেকে আসেন পুরুলিয়ার ডিএফও ওমপ্রকাশ, এডিএফও সমীরণ মজুমদার। ডিএফও বলেন, “হাতিটির দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। কোনও বিষক্রিয়ায় এই হস্তিশাবকের মৃত্যু হয়নি। চিকিৎসকেরা প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছেন, ঠান্ডা লেগে হস্তিশাবকটির ফুসফুসে কোনও সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পযর্ন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে না।” দিন কয়েক আগে ঝাড়খণ্ড থেকে ১৪টি হাতির এই দলটি এই এলাকায় ঢুকেছে। দলটি ঝালদা হয়ে কোটশিলার দিকে চলে গিয়ে দিন তিনেক আগে ফের এই এলাকাতেই ফিরে আসে। ময়নাতদন্তের পর সেখানেই হস্তিশাবকটির সৎকারের ব্যবস্থা করে বন দফতর। কিন্তু, সেই কাজ শুরু করতে অন্ধকার নেমে আসে। হাতির দলটি এলাকারই জঙ্গলে ঘাঁটি গাড়ায় কতটা নিবির্ঘ্নে সৎকার পর্ব সমাধা করা যাবে, তা নিয়ে সংশয়ে বনকর্তারা। ঝালদার রেঞ্জার সমীর বসু বলেন, “গ্রামের দু’কিমি-র মধ্যে জঙ্গলে হাতির দলটি ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। রাত হলেই ওরা ফের বেরিয়ে পড়বে।” |