|
|
|
|
নিত্য নির্যাতন নারীর, উদ্বিগ্ন শীর্ষ আদালত
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি |
ধর্ষণ ১৩৩০টি। শ্লীলতাহানি ২৮৪৪টি। ইভটিজিং ৭৯৩টি।
চলতি বছরের গোড়া থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই হিসেব শুধু রাজধানীর। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই খতিয়ান আজ জমা দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। যা দেখে সর্বোচ্চ আদালতের মন্তব্য, “মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ শেষ পাঁচ বছরে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। কেন এমন হচ্ছে? কেন আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ?” প্রশ্ন তুলেছে বিচারপতি জি এস সিঙ্ঘভির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
শুধু তা-ই নয়, আদালত বলেছে, “বাসে যাতায়াত করা মহিলারা প্রত্যেক দিন শ্লীলতাহানির শিকার হচ্ছেন। নিঃশব্দে অত্যাচারিত হয়ে চলেছেন মহিলারা। যে কয়েকটা ঘটনা ঘিরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে, সেগুলোই শুধু প্রকাশ্যে এসেছে।” আদালতের মতে, মানুষ এখন
একটু হলেও সচেতন হয়েছেন,
তাই কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করতে পারছেন মেয়েরা।
গত জুনে দিল্লির একটি নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় এফআইআর দায়ের করার দাবিতে পুলিশের লাঠির মুখে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আম আদমি পার্টির কর্মী-সমর্থকেরা। সেই ঘটনায় বিশেষ তদন্ত দল গঠনের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা। তার শুনানিতেই এই মন্তব্য করেছে কোর্ট।
নারী নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদের কথা বলতে গিয়ে দিল্লি গণধর্ষণের প্রসঙ্গও তোলেন বিচারপতিরা। নির্ভয়ার গণধর্ষণ আদৌ কোনও ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ ছিল না বলে মন্তব্য করে তাঁরা বলেন, “এমন ঘটনা প্রত্যেক দিন ঘটে। আমরা নির্ভয়াকে মনে রেখেছি, কিন্তু তার আগেও এমন তিক্ত স্মৃতি কিছু কম নেই।”
১৫ বছর আগে মধ্যপ্রদেশের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে আদালত। বলে, “একটি ধনী পরিবারের কয়েক জন ছেলের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন এক ছাত্রী। জিপের চাকার তলায় জীবন দিয়ে সেই প্রতিবাদের মাসুল গুনেছিলেন তিনি।” বস্তুত, সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের অধিকার যে সুরক্ষিত থাকছে না, সে কথাই আজ একাধিক বার স্পষ্ট করে দিয়েছে কোর্ট।
সম্প্রতি সামনে আসা কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনায় এক হয়ে গিয়েছে দিল্লি, মুম্বই, কামদুনি, মধ্যমগ্রামের মতো দেশের খ্যাত-অখ্যাত নানা প্রান্ত। অভিযুক্তদেরশাস্তির দাবিতে প্রতিবাদের ঝড় উঠছে দেশ জুড়ে।
এই অবস্থায় সর্বোচ্চ আদালতের আজকের মন্তব্য আবার ভরসা জোগাল প্রতিবাদীদের। |
|
|
|
|
|