|
|
|
|
আজিজের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক হবে খুরশিদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অনুপ্রবেশ এবং গুলি বর্ষণ নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা যখন চরমে, সেই সময়ে আগামী মাসে ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মনমোহন জমানায় দু’দেশের মধ্যে এটি হবে শেষ শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক।
১১ নভেম্বর দিল্লিতে শুরু হচ্ছে এশীয়-ইউরোপীয় বিদেশমন্ত্রী সম্মেলন। যোগ দিতে ভারতে আসছেন পাক বিদেশমন্ত্রী শরতাজ আজিজও। ওই সম্মেলনের ফাঁকে বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ বৈঠকে বসবেন শরতাজের সঙ্গে। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, এই এক বৈঠকেই কোনও বন্ধ দরজা হঠাৎ খুলে ফেলা যাবে, এমনটা নয়। তবে এর কূটনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা যথেষ্ট বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারত-পাক সীমান্ত বরাবর পাক সেনাবাহিনীর মদতে অনুপ্রবেশ এবং সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছে ভারতীয় সংসদ। দফায় দফায় অধিবেশন মুলতুবি করে মনমোহন সিংহকে ‘দুর্বল প্রধানমন্ত্রী’ বলে চাপ সৃষ্টি করছে বিরোধী দলগুলি। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে সরকারের পাক-নীতি নিয়ে বিজেপি যে আসরে নামতে চায়, নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক বক্তৃতাগুলি থেকেও তা স্পষ্ট।
কূটনীতিকদের মতে, এই অবস্থায় ইসলামাবাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা এবং কড়া বার্তা দেওয়া মনমোহন সরকারের বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে। গত মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অনুপ্রবেশ রোধ এবং সংঘর্ষবিরতি মান্য করার বিষয়ে একমত হন দুই নেতা। স্থির হয়, দু’দেশের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও)-রা বৈঠকে বসে মতভেদ মিটিয়ে নেবেন। কিন্তু পাকিস্তানের আগ্রহের অভাবে সে বৈঠক এখনও হয়ে ওঠেনি। ফলে নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা রয়েছে।
আজই প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি কড়া ভাষায় বলেন, “টুকটাক সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা হয়। কিন্তু এ বছর বিষয়টি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছেছে।” তিনি সরাসরি তর্জনী নির্দেশ করেছেন পাক সেনাদের দিকেই। অ্যান্টনি বলেন, “পাক সেনাদের সহায়তা ছাড়া সন্ত্রাসবাদীরা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতেই পারে না।” |
|
|
|
|
|