|
|
|
|
হিমগিরিতে চুরি, ধৃত ২ প্যান্ট্রিকর্মী
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বাইরে থেকে চোর আসেনি। দূরপাল্লার ট্রেনে যাঁরা খাবার দেন, সেই প্যান্ট্রিকার-কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধেই যাত্রীদের টাকা ও ব্যাগ চুরির অভিযোগ উঠল। প্রতিবাদ করায় ওই কর্মীদের হাতে যাত্রীরা আক্রান্ত হন বলেও অভিযোগ। রেহাই পাননি মহিলারাও। এক মহিলাকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টাও হয় বলে অভিযোগ। যাত্রীদের বক্তব্য, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে এই ঘটনা চলাকালে রেল পুলিশ বা রেলরক্ষী বাহিনীর দেখা মেলেনি।
বিহারের মোকামা ও কিউল স্টেশনের মধ্যে মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ামুখী হিমগিরি এক্সপ্রেসের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বি-৩ কামরায়। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ ট্রেনটি হাওড়ায় পৌঁছলে যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে প্যান্ট্রিকারের কর্মীরা ৯-১০ জন যাত্রীর টাকা, মোবাইল চুরি করেন। কিছু যাত্রীর ঘুম ভেঙে যায়। তাঁরা দু’জনকে হাতেনাতে ধরেও ফেলেন। কিন্তু ঝাঝা স্টেশনে রেল পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে অস্বীকার করে। হাওড়া স্টেশনে প্যান্ট্রিকারের অভিযুক্ত কর্মীদের মধ্যে দু’জনকে শনাক্ত করা হয়। হাওড়ার রেল পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
|
হিমগিরির এক খুদে যাত্রীর মুখে
স্পষ্ট আতঙ্কের ছাপ।
ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার। |
বি-৩ কামরার যাত্রী তামসী চক্রবর্তী বলেন, “এক জন আমার ব্যাগ নিয়ে পালাচ্ছিল। তাকে ধরতে যেতেই প্যান্ট্রিকারের এক কর্মী আমার হাত মচকে দেয়। ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ারও চেষ্টা করে।” চেঁচামেচিতে অনেকে জেগে যান। তাঁরা অভিযুক্তদের তাড়া করে প্যান্ট্রিকারের সামনে দু’জনকে ধরে ফেলেন। যাত্রীদের অভিযোগ, প্যান্ট্রিকারের অন্য কর্মীরা তাঁদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আক্রান্ত হন মহিলারাও।
হাওড়ার রেল পুলিশ সুপার মিলনকান্ত দাস বলেন, “যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে প্যান্ট্রিকারের দুই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের ঝাঝা রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।” পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ অফিসার রবি মহাপাত্র বলেন, “ঘটনাটি ঘটেছে এক মহিলার ব্যাগ চুরিকে ঘিরে। অনেক যাত্রীর জিনিস চুরি হয়েছে, তা নয়। রেলরক্ষী বাহিনী দুই প্যান্ট্রিকার-কর্মীকে রেল পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।” |
|
|
|
|
|