টালিগঞ্জে পোড়া স্টুডিওর দরজা খোলার অনুমতি দিয়ে বিপদে পড়ল দমকল বিভাগ। স্টুডিও খোলার খবর পেয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান কার অনুমতি নিয়ে ওই স্টুডিও খুলেছে।
টালিগঞ্জে ম্যুর অ্যাভিনিউতে অবস্থিত দাসানি স্টুডিওতে গত এপ্রিল মাসের ৫ তারিখ আগুন লাগে। সেই নিয়ে মামলা হওয়ায় এটির দরজা বন্ধ ছিল। দুর্গাপুজোর দিন কয়েক আগে দরজা খোলে। দমকল বিভাগ সূত্রে খবর, তাদের অনুমতি নিয়েই স্টুডিও কর্তৃপক্ষ দরজা খোলেন।
বুধবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দমকল মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খানের কাছে জানতে চান, কার অনুমতি নিয়ে ওই স্টুডিওর দরজা খোলা হয়েছে। মন্ত্রী চটজলদি জবাব দিতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, “কাল, বৃহস্পতিবার এর ফাইল দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।” |
গত এপ্রিলে একটি বাংলা রিয়্যালিটি শো-র শু্যটিং চলাকালীন এই স্টুডিওতে আগুন লাগে। অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দু’জন ফ্লোর ম্যানেজার আহত হন। আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, দমকলের এক কর্মীও আহত হন। সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। শিল্পী ও কলাকুশলী ছাড়াও আশপাশের এলাকার বাসিন্দারাও ওই স্টুডিওতে উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করার দাবি তোলেন। সেই দিনই গভীর রাত অবধি ওই স্টুডিওর সামনে ধর্নায় বসে যান শিল্পী, কলাকুশলীদের স্থানীয় বাসিন্দারাও। পরে স্থানীয় বিধায়ক ও আবাসন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠকের পর ফিল্ম ও সিরিয়ালের প্রযোজক, পরিচালকেরা সিদ্ধান্ত নেন, স্টুডিওগুলি উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না-করা অবধি কোনও শু্যটিং তাঁরা করবেন না।
দাসানি স্টুডিওর মালিক অমিতাভ দাসানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি বাইরে আছি। স্টুডিও-র খাতাপত্র দেখে পরে কথা বলব।” কিন্তু এ দিন সেখানে শু্যটিং করছিলেন একটি সিরিয়ালের অভিনেত্রী রণিতা দাস। ‘বাহা’ নামে পরিচিত অভিনেত্রীও আগুন লাগার সময়েও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমরা ভয়ে ভয়েই আছি। এরা (স্টুডিও কর্তৃপক্ষ) তো বলছে আগুন লাগার পরে কিছু কাজ করেছে। জানি না সেগুলো কী কাজ।” কিন্তু অভিনেত্রী রচনার সাফ কথা, “কলকাতার ভিতরের স্টুডিওগুলোর হাল খুব খারাপ। এই জন্যেই আমরা সবাই কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। স্টুডিও মালিকেরা আমাদের নিরাপত্তার ব্যাপারটা চিন্তার মধ্যেই রাখেন না। মুখ্যমন্ত্রীর উপর আমাদের অগাধ ভরসা আছে। তিনি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।”
|