রাতে এলাকার বহু জায়গা থেকে সরকারি বিএসএএলের টেলিফোন কেব্ল চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটছিল গত কয়েক মাস ধরেই। ফলে ল্যান্ডলাইন, মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে কাঁকারতলা থানার বড়রা গ্রামে। লাগাতার চুরি হয়ে যাচ্ছে কাঁকারতলা থেকে বড়রা যাওয়ার রাস্তার পাশে থাকা বহু টেলিফোনের খুঁটিও। সন্ধ্যা নামলেই এলাকায় শুরু হয়ে যাচ্ছিল মদ্যপদের দাপাদাপি। সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বাড়ছে দেখেও চুপ করে ছিলেন এলাকার মানুষজন। কিন্তু সোমবার রাতে বড়রা হাটতলা এলাকার দু’টি দোকানে তালা ভেঙে চুরির চেষ্টা হয়। এর পরেই মঙ্গলবার এলাকার মানুষজন সামাজবিরোধীদের উৎপাত কমাতে গণসাক্ষরিত একটি আবেদন কাঁকরতলা থানায় জমা দেন। তাঁদের অভিযোগ, সমাজবিরোধীরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকার জন্যই হোক বা অন্য কোনও কারণের জন্যই হোক, পুলিশ সদর্থক ভূমিকা নেয়নি। ফলে সমস্যা বেড়েই চলেছে।
বড়ারা গ্রামের সুবীর দাস, মীর মুকুলরা বলেন, “দিনের পর দিন এলাকায় বাড়তে থাকা সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হোক, প্রশাসনের কাছে আমরা সেটাই চেয়েছি।” নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। কাঁকরতলা থানার তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে টেলিফোনের কেব্ল চুরির ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ। অন্য দিকে, টেলি-পরিষেবা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বিএসএনএলের বীরভূম জেলার জেনারেল ম্যানেজার সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “কেব্ল চুরির ঘটনা শুধু ওখানে নয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘটছে। কেব্লের পাশাপাশি চুরি হয়ে যাচ্ছে অন্যান্য প্রয়োজনীয় ও মূল্যবান যন্ত্রাংশ। প্রত্যেকটি ঘটনার কথা সংশ্লিষ্ট থানা ও জেলা প্রশাসনে জানানো হয়েছে। কোনও ঘটনারই কিনারা হয়নি। এটুকু বলতে পারি, এ ভাবে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলে কী ভাবে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব!” |