চলতি বছরে বাঁকুড়া জেলায় ১৫০০ বিঘা ও রাজ্যে ৮০০ হেক্টর জমিতে খরিফ পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। আগামী বছর রাজ্য উদ্যানপালন দফতর তিন হাজার হেক্টর জমিতে খরিফ পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। বুধবার বাঁকুড়ার সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান রাজ্যের উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত সাহা।
মন্ত্রীর কথায়, “রাজ্যে পেঁয়াজের চাহিদা চার লক্ষ মেট্রিক টন। কিন্তু ঘাটতি রয়েছে ১ লক্ষ মেট্রিক টন। এই ঘাটতি মেটাতেই আমরা খরিফ মরশুমে পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তাতে কিছুটা ঘাটতি মিটবে। তবে আরও জমিতে আমরা পেঁয়াজ চাষ করব।” এর ফলে রাজ্যে পেঁয়াজের ঘাটতি মিটবে বলেই আশাবাদী মন্ত্রী। পেঁয়াজ মজুত রাখতে সারা রাজ্যে ৩৩টি হিমঘর তৈরি করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এ দিন বড়জোড়ায় জৈবসার প্রয়োগের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরেরও উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। উল্লেখ্য, মন্ত্রীর জেলা সফরের দিনই বাঁকুড়ার ছাতনায় পেঁয়াজ চাষকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিডিওকে স্মারকলিপি দিল বিজেপি। দলের জেলা সহ-সভাপতি জীবন চক্রবর্তীর দাবি, সরকার এই জেলায় যে পরিমাণ পেঁয়াজ চাষ হয়েছে বলে দাবি করছে, তা ঠিক নয়। তাঁর অভিযোগ, “ছাতনার দলপুর আশ্রমে ১৫ বিঘা জমিতে খরিফ পেঁয়াজ চাষ করার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেখানে কোনও চাষই হয়নি। চাষের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, তা নয়ছয় করা হয়েছে।” বিজেপি-র জেলা নেতৃত্ব এ নিয়ে প্রশাসনিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। ছাতনার বিডিও সুতপা নস্কর বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখা হবে।” যদিও মন্ত্রীর বক্তব্য, “বিরোধীরা এই সমস্ত কথা বলতেই পারেন। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি।” |