এ বারও শোভাযাত্রার রুট বদলানোর পক্ষে মত দিল না কাটোয়ার কার্তিক পুজোর বেশির ভাগ উদ্যোক্তা। ফলে এ বারও ‘কার্তিক লড়াই’ হবে পুরনো পথেই। গত বারও কাটোয়া মহকুমা প্রশাসন শহরের ছোট রাস্তার বদলে তুলনামূলক চওড়া রাস্তা দিয়ে ‘কার্তিক লড়াই’ করার প্রস্তাব দিয়েছিল। বুধবারের কাটোয়া মহকুমা প্রশাসনের সভায় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কমল ভট্টাচার্য পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে পুনরায় রুট বদলানোর প্রস্তাব দেন। কিন্তু সেই প্রস্তাবে তেমন সাড়া মেলেনি।
কাটোয়ায় কার্তিক পুজো বরাবরই সর্বজনীন উৎসবের চেহারা নেয়। এই পুজোর বিসর্জনে যে শোভাযাত্রা বের হয় সেটাই ‘কার্তিক লড়াই’ নামে পরিচিত। মহকুমা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে সরু রাস্তার উপর এক জায়গাতেই শোভাযাত্রা দাঁড় করিয়ে রাখার প্রবণতা রয়েছে। এ দিন কাটোয়া থানার ওসি সনৎ দাস উদ্যোক্তাদের বলেন, “আপনারা উদ্যোগী হলে শোভাযাত্রা দ্রুত বেরিয়ে যেতে পারে। ছোটখাটো সমস্যাও দেখা যাবে না।” এ দিনের সভায় ঠিক হয়েছে মহকুমা প্রশাসন ‘এক জানালা’ পদ্ধতিতে আগামী ৪ ও ৬ নভেম্বর কার্তিক পুজোর অনুমতি দেবে। শোভাযাত্রার অনুমতি পাওয়ার জন্য ১২ নভেম্বরের মধ্যে এসডিপিওর (কাটোয়া) কাছে আবেদন করতে হবে।
যদিও পুজোর অনুমতি নিয়ে উদ্যোক্তারা যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন সেই বিষয়েই উদ্যোগী হয়েছেন প্রশাসন। কাটোয়ার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুরেশ রানো বলেন, “কোনও কারণে যদি নির্ধারিত দু’দিনের মধ্যে পুজো উদ্যোক্তারা অনুমতি না পান তা হলে প্রশাসন অনুমতি পেতে সাহায্য করবে।” এ দিনের সভায় দাঁইহাটের রাসকে সুষ্ঠু ভাবে করা নিয়েও আলোচনা করা হয়। ঠিক হয়েছে, কাটোয়া ২ ব্লক দফতর থেকে আগামী ১১ ও ১২ নভেম্বর রাস উৎসবের অনুমতি দেবে মহকুমা প্রশাসন। |