পুর যুদ্ধ জিততে ডান-বাম সব পক্ষই ভরসা রাখছে তারুণ্য আর নতুন মুখের উপর।
সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলে ২৫ ওয়ার্ডের বহরমপুর পুরসভার আসন সংখ্যা হয়েছে ২৮। ভোট হবে আগামী ২২ নভেম্বর। মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তারপরে দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেস চালিত বিরোধীশূন্য বহরমপুর পুরসভার ২৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২১ জনই টিকিট পাননি। সেই দলে রয়েছেন বর্তমান উপ-পুরপ্রধান সুশীল পালও। টিকিট পেয়েছেন পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য-সহ মাত্র ৪ জন। জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, “২৮ জনের মধ্যে ১৮ জন প্রার্থীর বয়স ২১ বছর থেকে ৪০ বছরে মধ্যে। মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ৯।”
পুরনোদের এ ভাবে বাদ দেওয়া হল কেন? জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি বলেন, “সংরক্ষণের কারণে অনেক কাউন্সিলরকেই টিকিট দেওয়া যায়নি। তা ছাড়া সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। যেমন ২ জন প্রার্থী রয়েছেন বস্তিবাসী ও তপসিলি জাতির। নাগরিকদের আরও ভাল পরিষেবা দেওয়ার জন্য অনেক কম বয়সীদের প্রার্থী করা হয়েছে।”
এ বার বামেরা জোটবদ্ধভাবে লড়ছে। ২৮টি আসনের মধ্যে সিপিএম ১৬টি, আরএসপি ৮টি, ফরওর্য়াড ব্লক ২টি ও সিপিআই এবং সমাজবাদী পার্টি একটি করে আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ফন্টের সব প্রার্থীই নবাগত এবং অধিকাংশ প্রার্থীর বয়স ৪৫-এর নীচে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, “প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং নতুন প্রজন্মের দিকে খেয়াল রেখে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে।” আরএসপি-র জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তরুণরা নির্বাচন যুদ্ধে ভাল ভাবে লড়তে পারবে। তাই ৮ জনের মধ্যে ৭ জনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে, যাঁদের বয়স ৪৫ বছরের মধ্যে।”
তৃণমূলেরও ২৮ প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জনই এ বার প্রথম ভোটে লড়ছেন। দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুবোধচন্দ্র দাস বলেন, “২৮ জনের মধ্যে ১৪ জনই মহিলা। ১৫ জনের বয়স ৪৫ বছরের মধ্যে।” বিজেপি মাত্র ১০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তার মধ্যে ৯ জনেরই বয়স ৪০ বছরের মধ্যে। সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করা প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মণ্ডল বলেন, “যে ওয়ার্ড গুলিতে সাংগঠনিকভাবে আমরা দুর্বল সেখানে প্রার্থী দেওয়া হয়নি।”
|