জঙ্গিকর-বিরোধী সমাবেশের উপরে ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি করল নাগা জঙ্গি সংগঠন এনএসসিএন (আইএম)। তবে কর দিতে দিতে জেরবার ডিমাপুরবাসীও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আর ভয় পেয়ে পিছু হঠবেন না তাঁরা। সভা হবেই। কেবল হুমকি দিয়েই ক্ষান্ত নয় জঙ্গিরা। শহরের বিভিন্ন স্থানে কর-আদায়ের বিরুদ্ধে সই সংগ্রহের যে হোর্ডিংগুলি লাগানো হয়েছিল, গত রাতে সেগুলি ছিঁড়ে ফেলেছে জঙ্গিরা।
ডিমাপুরে বেআইনি জঙ্গি করের বিরুদ্ধে গড়া হয়েছে যৌথ মঞ্চ (আকাউট)। কেন্দ্রীয় সরকার বার বার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকার জঙ্গিকর ঠেকাতে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় নাগাল্যান্ডের ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবি, সমাজকর্মীরা জঙ্গি করের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে এই যৌথ মঞ্চ গড়েছেন। গত পাঁচ দিন ধরে জঙ্গিকরের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে আকাউট। জঙ্গি তোলাবাজির বিরুদ্ধে সই করে অভিযানে হাত মিলিয়েছেন বক্সার মেরি কমও। আকাউটের পরিকল্পনা অনুযায়ী, কথা ছিল স্বাক্ষর অভিযান ৩০ অক্টোবর অবধি চলবে। পরের দিন হবে তোলাবাজির বিরুদ্ধে গণ-সমাবেশ। কিন্তু কাল রাতে জঙ্গিরা সব প্রচার হোর্ডিং ছিঁড়ে দেয়, সরিয়ে ফেলে। হাঙ্গামার ভয়ে আজ শহরের সব সংবেদনশীল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কেবল কর আদায় নয়, আইএম নেতারা ডিমাপুরের অধিকাংশ ব্যবসা নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মূল্যবৃদ্ধিও ঘটছে তাদের ইচ্ছায়। তার বিরুদ্ধেও সরব আকাউট। কিন্তু সু ও মুইভার সংগঠন সেই সমাবেশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে। আইএম-এর বক্তব্য, জঙ্গিকর নাগা জাতীয়তাবাদী লড়াইয়ের অঙ্গ। তার বিরোধিতার অর্থ নাগা জাতীয়তাবাদের বিরোধিতা। জঙ্গিদের অভিযোগ, বহিঃশক্তির উস্কানিতেই আকাউট এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই ঘটনা দিল্লির সঙ্গে চলা শান্তি প্রক্রিয়াতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছে আইএম। আকাউট নেতাদের ‘সীমা অতিক্রম’ করতে মানা করে আইএম-এর তরফে জানানো হয়েছে, তারাও যথেচ্ছ কর আদায়ের বিপক্ষে। কিন্তু নাগাল্যান্ডে বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠন অযৌক্তিক কর আরোপ করায় সমস্যা হচ্ছে। জঙ্গিদের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আইএম এর বিরুদ্ধে জনমত গঠনের কাজ চলছে।
|